সকল মেনু

নিজ ফ্লাটে মুখ থেঁতলে জিলা স্কুলের শিক্ষিকাকে খুন

হটনিউজ ডেস্ক:

কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা রোকসানা খানম (৫২) নিজ ফ্লাটে খুন হয়েছেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্বৃত্ত দল তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

রোববার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে পুলিশ ওই শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শহরের হাউজিং ডি-ব্লকের ৬ তলা বাড়ির দোতালার ঝুলন্ত বারান্দায় ছাদের উপরের গ্রীল কেটে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা শিক্ষিকা রোকসানার ফ্লাটে প্রবেশ করে। পরে ধারালো অস্ত্র কিংবা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে শিক্ষিকা রোকসানাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় আঘাত ছাড়াও দুর্বৃত্তরা থেঁতলে দেয় তার মুখমণ্ডল। পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষিকার বাড়ির ব্যবহৃত আলমারির লক ভেঙ্গে কাপড়-চোপড়সহ মামলাল তছনছ করে।

এছাড়াও আসবাব-পত্র ও কম্পিউটার ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। স্বর্ণালংকার কিংবা টাকা-পয়সা খোয়া গেছে কি না তা নিশ্চিত করে পুলিশ জানাতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা না গেলেও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী চক্র এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। নিঃসন্তান ওই শিক্ষিকা ৬ তলাবিশিষ্ট নিজ ফ্লাট বাড়ির দোতলায় একাই বসবাস করতেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের দিবা শাখায় ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান শিশির যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায় এলজিইডিতে কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে কর্মরত।

খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকালে পুলিশ রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া ২৫০ শষ্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। পুলিশ-র্যাব ও পিআইবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডটি তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। খবর পেয়ে ওই শিক্ষিকার সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন।

এদিকে সুরক্ষিত ফ্লাট বাড়িতে নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ, পিবিআই ও গোয়েন্দা টিম সমন্বিতভাবে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top