সকল মেনু

পরীক্ষা দিতে পারল না অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী

হটনিউজ ডেস্ক:

প্রবেশপত্র না পাওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শিমুলতলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী এইচএসসি (বিএম শাখা) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তারের বসতবাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এ ঘটনায় মোরশেদা আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার দুপুরে উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় ছয়টি কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তার ফরম পূরণের টাকা আত্মসাত করায় তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। মোরশেদা আক্তার ফরম পূরণের নামে অন্তত ৬০ জনের কাছ থেকে মাথাপিছু ৪-৫ হাজার টাকা জমা নেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষকে টাকা জমা না দেওয়ায় তাদের ফরম পূরণ হয়নি। পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় প্রবেশপত্রের জন্য এক সপ্তাহ আগে কলেজে গেলে অন্য শিক্ষকেরা তাদের ফরম ফিলাপ করা হয়নি বলে জানিয়ে দেয়।

শিমুলতলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের ফারাজিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ফারাজিপাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব আব্দুস ছালাম বলেন, ‘রবিবার সকাল ১০টার দিকে পরীক্ষাবঞ্চিতরা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে।’

এ সময় ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান আতিক বলেন, ‘আমি একাদশ শ্রেণিতে ফরম পূরণের জন্য মোরশেদা ম্যাডামকে ৫ হাজার টাকা দিলেও তিনি আমার ফরম পূরণ না করায় পরীক্ষা দিতে পারেনি।’

পরীক্ষার্থী জাহিদ বলেন, ‘আমি মোরশেদা আক্তার ম্যাডামকে ফরম পূরণের জন্য চার হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি টাকা আত্মসাৎ করায় আমার ফরম পূরণ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।’

ইসমা আক্তার বলেন, ‘আমি মোরশেদা ম্যাডামকে গত শুক্রবার আমার কাছে প্রবেশপত্রের জন্য এক হাজার টাকা নিয়েছেন। এর আগে ফরম পূরণের জন্য চার হাজার টাকা নিয়েছেন, কিন্তু তিনি আমার ফরম করেননি।’

এ ছাড়া জয় কর্মকার, খোরশেদ, শর্মি আক্তারসহ অনেকেই বলেন, মোরশেদা ম্যাডাম অন্তত ৬০ জনের কাছে ফরম পূরণের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে রোববার দুপুরে শিমুলতলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় তালা ঝুলছে। কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ছাড়া অভিযুক্ত কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তার আত্মগোপনে থাকায় তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে কলেজের অফিস সহকারী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এবার ১২৪ জন পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দিয়েছি। ফরম পূরণ না হওয়ায় অনেকেই আমাকে জানিয়েছিল। পরে নতুন করে ১৫ জনের প্রবেশপত্র পেয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘ফরম পূরণে জটিলতার বিষয়টি গত শনিবার দুপুরে আমি জেনেছি। ওই কলেজের অধ্যক্ষকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ১৫ জনের প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে এবং তারা পরীক্ষা দিতে পেরেছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top