সকল মেনু

ফরিদপুর-২ উপ-নির্বাচন: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন দুই প্রার্থী

হটনিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জামাল হোসেন মিয়া।

এছাড়া একই সঙ্গে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়াও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ফরিদপুর নির্বাচন অফিস থেকে তাদের দু’জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

বিকেলে ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে এ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জামালের বড় ভাই মো. কামাল হোসেন মিয়া।

কামাল হোসেন মিয়া বলেন, নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে জামাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন করেছি। আমরা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করবো।

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়া বলেন, ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একজন সম্মানী ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা ছিলেন। আর তাইতো তাঁর পরিবারের সম্মানার্থে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।

ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে চারজন বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় থাকেন এবং দুইজনের তথ্যের গড়মিল থাকায় যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

গত বুধবার (১২ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।

যাচাই-বাছাই শেষে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র)।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় বাতিল হয় তার মনোনয়নপত্র। মো. আবদুল কাদের (স্বতন্ত্র) সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় তার মনোনয়নও বাতিল করা হয়।

পরে ১৯ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর মিয়া তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এই নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে হবে। ফরিদপর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৫ নভেম্বর। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর। আগামী ৫ নভেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top