সকল মেনু

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন

হটনিউজ ডেস্ক:

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১.১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি (এম.এন. একাডেমি) মাঠে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পড়ান নগরকান্দা মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতী ইসমাতুল্লাহ কাসেমী।

মরহুমার জানাজায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস.এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, সংসদ উপনেতার কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাশবাহী একটি ভ্যানে করে বেলা এগারোটার দিকে তাঁর মরদেহ নগরকান্দায় আনা হয়। এলাকার লোকজন তাদের প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ভীর জমান।

বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে তার মরদেহ। বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে আবারও জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত,গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১.৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।তার বাবার বাড়ি ছিল ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।ব্যাক্তিজীবনে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী।সাজেদা চৌধুরীর ছিল এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তাঁর মৃত্যুতে ফরিদপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী।সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। গত তিন বছর যাবৎ অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন না।

তার কনিষ্ঠ পুত্র শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু সালথা নগরকান্দায় মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল কিংবদন্তি তুল্য। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুরে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে আপসহীন কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top