সকল মেনু

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধু ইয়াসিনকে হত্যা, মাথা উদ্ধার

হটনিউজ ডেস্ক:

পাওনা ২০ হাজার টাকা আদায় করতে না পেরে বন্ধু ইয়াসিন আলীকে গলা কেটে হত্যা করেছিল জাকির হোসেন। ইয়াসিন আলীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-৬ এ তথ্য জানিয়েছে।

সাতক্ষীরা শহরতলীর কামালনগর এলাকার ব্রিজের নিচের ডোবা থেকে নিহত ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

এর আগে হত্যাকারী জাকির হোসেনকে শনিবার রাতে সদর উপজেলার আলীপুর চাঁপারডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জাকির সাতক্ষীরা পৌরসভার গড়েরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।

রোববার সকালে শহরের কামালনগর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৬ (খুলনা) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, সদর উপজেলা পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানের মালিক ইয়াসিন আলীর সঙ্গে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াসিন আলী জাকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সঙ্গে গত সপ্তাহে ইয়াসিনের তুমুল ঝগড়া হয়। এ ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করে জাকির। রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড়ে নিয়ে যান জাকির। সেখানে গল্প করতে থাকেন দুজন। মধ্যরাতে আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াসিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একপর্যায়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন জাকির। পরে দেহটি পাশের একটি ঘেরে আর মাথা এক কিলোমিটার দূরে ব্রিজের নিচের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ।

জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলী নামে এক চা বিক্রেতার মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন।

ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top