হটনিউজ ডেস্ক:
খুন করে ছয় বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দীর্ঘদিন পর র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। রাজশাহীর তানোরে বহুল আলোচিত শহীদুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ময়েজ উদ্দিনকে (৫০) পাশের জেলা নাটোর থেকে আটক করেছে র্যাব-৫।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মণ্ডলপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকৃত ময়েজ উদ্দিন রাজশাহীর তানোর উপজেলার বহরইল গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
আটকের পর ময়েজ উদ্দিনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫ এর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দুপুরের মধ্যেই তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাকে শহীদুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠাবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৫ এর সিপিসি-২ কোম্পানীর উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, খুনের পর ময়েজ উদ্দিন ছয় বছর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মণ্ডলপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার শহীদুল হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শহীদুল হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ময়েজ উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ওই গ্রামের শহীদুলকে (৪১) খুন করেন। পরে তারা মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শহীদুলের স্ত্রী সফেরা বেগম বাদী হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকে ময়েজ উদ্দিন পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ এই মামলাটি তদন্ত করে ময়েজ উদ্দিনকে প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।