সকল মেনু

গচ্ছিত টাকা ফেরত না দেওয়ায় নারীকে হত্যা

হটনিউজ ডেস্ক :

সিলেটে খুন হওয়া সেই নারীর প্রবাস ফেরত ‘লাপাত্তা’ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর র‌্যাব গ্রেফতার করেছে এক নারীকে। র‌্যাবের দাবি, গচ্ছিত টাকা ফেরত না দেওয়ায় একই বাসায় সাবলেটে থাকা নারীর হাতে খুন হয়েছেন আফিয়া বেগম।

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার মাজেদা খাতুন মুন্নি (২৯) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার সারংপুর গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর মাজেদা খাতুন মুন্নি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, আফিয়া বেগমের সাথে একই বাসায় সাবলেট থাকতো মুন্নি। আফিয়ার কাছে সে টাকা পয়সা গচ্ছিত রাখতো। একপর্যায়ে মুন্নি জমানো টাকা ফেরত চাইলে আফিয়া দিতে অস্বীকৃতি জানায়। গত ২১ আগস্ট রাত ১২টার দিকে বাসায় এ নিয়ে আফিয়া ও মাজেদার মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে রান্নাঘর থেকে মসলা বাটার শিল এনে মুন্নি আফিয়ার মাথায় পরপর দুইবার আঘাত করে। এতে আফিয়া অচেতন হয়ে পড়ে। ভোর ৬টার দিকে মুন্নি একটি রিকশা ডেকে তার জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় বাসার দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে যায়।

এদিকে, গত বুধবার রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকা থেকে নিহত আফিয়ার কথিত স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইসমাইল নিয়াজ খান নামে ওই ব্যক্তি বরইকান্দি এলাকার ইসমত খানের ছেলে।

শাহপরান (রহ.) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ কথিত স্বামী ইসমাইল নিয়াজ খানকে গ্রেফতার করেছে। ওই মহিলার স্বামী ওমানপ্রবাসী বলে শোনা গেলেও আসলে নিয়াজ প্রবাসে ছিলেন না। আফিয়ার সঙ্গে তার যে বিয়ে হয়েছে, সেটার কাগজপত্রও নেই। মৌলভী ডেকে নাকি তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগরীর বালুচর সোনারবাংলা আবাসিক এলাকার পাঁচতলা একটি বাসার নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে আফিয়া বেগম নামে এক নারীর পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে। বাসা থেকে তার দুই বছর বয়সী মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আফিয়া বেগম গোয়াইনঘাট উপজেলার জাঙ্গাইল তোয়াকুল গ্রামের আজির উদ্দিনের মেয়ে। তিনি বালুচরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েসহ থাকতেন। আর স্ত্রী আফিয়ার দায়ের করা একটি মামলায় তার কথিত স্বামী কারাগারে ছিলেন। আফিয়া খুন হওয়ার ৮ দিন আগে তিনি জামিনে বের হলেও লাপাত্তা ছিলেন। স্ত্রী খুনের খবর পেয়েও তিনি বাসায় ফিরেননি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার আফিয়ার মা কুটিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় আফিয়ার স্বামী নিয়াজ খানকে গ্রেফতার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top