সকল মেনু

আবার বিক্ষোভ হলে ঈদ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ

pic-0120130927043755 নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর:  ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকার দাবিতে গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। বিক্ষোভের মুখে এদিনও ২৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কাল শনিবার বিক্ষোভ-ভাংচুর অব্যাহত থাকলে ঈদ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিট পোশাক প্রস্তুতকারীদের সংগঠন বিকেএমইএ।

শ্রমিক বিক্ষোভের প্রথম পাঁচ দিনে গাজীপুর, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জে বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, বিক্ষোভ শুরুর দিন গত শনিবার ছুটি ঘোষণা করা হয় প্রায় দুই হাজার কারখানা। এরপর রোববার ১৪০টি, সোমবার ৫৫০, মঙ্গলবার ৯০ ও বুধবার ১৬০টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল তা কমে আসায় আজও শুক্রবার সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। তবে পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সংগঠনটি।

গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ গতকাল বৃহস্পতিবার মোটামুটি সহনীয় থাকলেও নারায়ণগঞ্জে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই অঞ্চলে কারখানার সংখ্যা প্রায় ৫০০, যার বেশির ভাগই নিট খাতের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানা বন্ধের হুমকি দিয়েছে বিকেএমইএ। এছাড়া গাজীপুর এলাকায় কারখানা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ এবং সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় প্রায় ৬০০টি।

বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ প্রসঙ্গে বলেন, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ এলাকার কারখানা ছুটি থাকে। শনিবার কারখানা খোলার পরও যদি উত্পাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাহলে ঈদ পর্যন্ত সবকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া আমাদের সামনে কোন পথ খোলা নেই। এ ব্যাপারে পোশাকখাতের অন্য সংগঠনগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করায় গাজীপুর ও আশুলিয়া অঞ্চলে এদিন বিক্ষোভ তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া কোন পথই খোলা থাকবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top