সকল মেনু

গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ

হটনিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের বহুল আলোচিত চিনি দুর্নীতি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। একই মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর বড় ছেলে ও পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শেহবাজও। খবর ডন। পাকিস্তানের বিশেষ আদালত সেন্ট্রাল ওয়ানে চলছে এ মামলার বিচারকাজ।

শনিবারের শুনানিতে বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান মামলার বাদীপক্ষ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, এফআইএ শেহবাজ শরিফ ও হামজা শেহবাজকে গ্রেপ্তার করতে চায় কি না?
জবাবে এফআইএ কর্মকর্তারা বলেন, তারা শেহবাজ শরিফ ও হামজা শেহবাজকে গ্রেপ্তার করতে ইচ্ছুক। এদিন অবশ্য শেহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে মামলার অন্যতম আসামি ও শেহবাজের ছোট ছেলে সুলেমান শেহবাজসহ অপর দুই আসামি তারিক নাকভি ও মালিক মাকসুদের বিরুদ্ধে শনিবার পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

শেহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আদালত। শনিবারের শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ও ছেলে হামজা উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই আদালতের অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যান তারা।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে লাহোরের বিশেষ আদালতে শেহবাজ, তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে আখ ক্রয়, চিনি উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে শেহবাজ শরিফ, তার দুই ছেলে ও এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের। পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকজন চিনি কল মালিকও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

এতে আরও বলা হয়, বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে শেহবাজের পরিবারের সদস্যদের বেনামে ২৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেসব ব্যাংকে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে এ অর্থ। রাজনীতির পাশপাশি চিনির ব্যবসা রয়েছে পাকিস্তানের শরিফ পরিবারের। আল-আরাবিয়া মিলস নামে একাধিক চিনির কারখানা রয়েছে এই পরিবারের।

শেহবাজ শরিফ অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে পাকিস্তানে রাজনীতি ও নির্বাচন করার অধিকার হারাবেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top