সকল মেনু

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে কিশোরী নিহত

হটনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কিশোরীটির মা–বাবাসহ আরও তিনজন। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরীর নাম মারজিয়া (১৭)। আহত হয়েছে তার সঙ্গেই জন্ম নেওয়া যমজ ভাই। কিশোরটির নাম জানা যায়নি। তাদের মা–বাবাও আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মাইক্রোবাসটির চালককে।

রেলওয়ে বগুড়া স্টেশন ও জিআরপি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বগুড়া কমিউটার (টুয়েন্টি ডাউন) ট্রেন বগুড়া স্টেশনে পৌঁছার কয়েক মিনিট আগে আকাশতারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর চিকিৎসক এক কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মিন্টু মিয়া মাইক্রোবাসে করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শহরের আকাশতারা এলাকায় যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রেললাইন পার হওয়ার সময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী টুয়েন্টি ডাউন ট্রেন এসে পড়ে। ট্রেনটি দেখে মাইক্রোবাসের চালক রেললাইন ঘেঁষে মাইক্রোবাস থামিয়ে পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় চলন্ত ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে সজোরে থাক্কা দিলে মাইক্রোবাস উল্টে গাছের সঙ্গে লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য আটকা পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়া যান।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। অপর কিশোরটিকে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র নিয়ে গেছেন। আর তাদের মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা মিন্টু মিয়াকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ বগুড়া স্টেশন ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, মাইক্রোবাসে মিন্টু মিয়া, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং চালকসহ পাঁচজন যাত্রী ছিল। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেছে। আহত চারজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল দাস বলেন, মিন্টু মিয়া তাঁর পরিবার নিয়ে মাইক্রোবাসে করে বগুড়ার আকাশতারা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top