সকল মেনু

কেঁচো খুঁড়তে সাপ ধরা! সাব্বিরের সঙ্গে নাঈমকেও হত্যা

হটনিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির বিশ্বাসকে খুন করে তার ব্যাটারী চালিত রিকশা ছিনতাই হয়ে যায়। গত ২ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটে। এরপর খুনের তদন্তে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করে তারা।

এরপর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ওই দিনই নাঈম নামে আরো একজনকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে তারা।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাটির নিচে পোতা প্লাস্টিকের বস্তায় নাঈমের মরদেহ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসামিরা ২ হত্যাকাণ্ডের কথাই স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের লোকমান খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে আছমত শেখ (১৯) ও তার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ভাই এবং একই গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা (২৩)। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, সাব্বির হত্যা মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয়। এক পর্যায়ে ক্লুলেস মামলার আসামিদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে যে, আসামিরা একটি ইজিবাইক বিক্রির উদ্দেশে গজারিয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। সেখান থেকে তাদের ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সাব্বির হত্যার কথা স্বীকার করে সাব্বিরের ব্যাটারি চালিত রিকশাটি ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান। বুধবার দুপুরে তারা নাঈম নামে আরো এক কিশোরকে হত্যা করে তার ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ছিনতাই করেছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আছমতের বাড়ির পেছনে মাটির নিচ থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ইজিবাইক চালক নাঈমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এএম জলিল জানান, আসামিরা আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে সাব্বির হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। নাঈম হত্যার বিষয়ে আরো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top