সকল মেনু

এক কনস্টেবলকে থাপ্পড় এডিসি হারুনের, আচরণের নিন্দা

হটনিউজ ডেস্ক:

এবার রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেটে ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সহিংসতার সময় পুলিশের একজন কনস্টেবলকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার থাপ্পড় দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পুলিশ কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারছেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশ সদস্যদের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন অর রশিদ। এ সময় গুলি শেষ হয়েছে বলায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারেন তিনি। এমন আচারণে নিন্দা জানিয়েছেন নেটিজনসহ সাধারণ মানুষ।

এদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্ক বিতর্কের জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ এডিসি হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট নীলক্ষেত মোড়ে এক লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানান। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- হোস্টেল ও ক্যাম্পাস খোলা রেখে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে, আহতদের সব চিকিৎসা রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করতে হবে এবং সাংবাদিক ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।

যে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্য পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনি রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। কনস্টেবল পদের একজন সদস্যকে তিনি চড় দিলেও ওই সদস্যের নাম জানা যায়নি।

এই বিষয়ে কথা বলতে এডিসি হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি স্যারের রুমে রয়েছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান। এরপর আর ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি। কী পরিস্থিতিতে বা কেন এডিসি অন্য সদস্যকে থাপ্পড় মেরেছেন নাকি মারেননি, তা জানা নেই। তবে রমনার ডিসি যদি এ বিষয়ে কোন রিপোর্ট করেন, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমে বলছেন, এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। এটা নিয়ে আমরা পরে কথা বলবো। এ নিয়ে তদন্ত হবে কিনা, কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, তা তিনি বলতে রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top