সকল মেনু

বিকেলে ওষুধ খাওয়ানোর পর থেকে অস্বস্তি, রাতেই মারা গেল দুই ভাই!

হটনিউজ ডেস্ক:

দু’দিন আগে বড় ভাই ইয়াছিন খানের (৭) জ্বর ওঠে। পরদিন জ্বরে আক্রান্ত হয় মোরসালিন খান (৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ সিরাপ এনে খাওয়ানো হয় তাদেরকে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাই মারা যায়।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দূর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ইয়াছিন ও সুজন দূর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের ছেলে। এর মধ্যে ইয়াসিন খান স্থানীয় দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

দুই সন্তানকে হারিয়ে সুজন খান ও লিমা বেগম দম্পতি পাগলপ্রায়। একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ ও মারা যাওয়া দুই শিশুর মা লিমা বেগম জানান, গত দুই দিন ধরে ছোট ছেলে মোরসালিন খানের জ্বর ওঠে। এর আগে থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুদের জন্য পাশের ফার্মেসি থেকে জ্বরের সিরাপ আনেন তাদের দাদি। একসঙ্গেই দুই শিশুকে নাপা সিরাপ খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে ইয়াছিন ও মোরসালিন বমি করার পাশাপাশি অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই তাদরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বাড়িতে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রাত ৯টার দিকে বড় ভাই ইয়াসিন খান এবং বাড়িতে আসার পর রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিন খানের মৃত্যু হয়।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ওষুধের দোকান মা ফার্মেসির মালিক মাঈন উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। যে সিরাপটি কেনা হয়েছিল তার মোড়কে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।

আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজাদ রহমান জানান, খবর পেয়ে রাত একটার দিকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওষুধটি জব্দ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য সিরাপটি ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top