সকল মেনু

বড় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

হটনিউজ ডেস্ক:

২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে দুই দলের সবশেষ দেখায় আফগানিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের কাছে ভয়ের আরেক নাম হয়ে ওঠে আফগানরা।

চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আফগানদের ২-১ ব্যবধানে হারানো গেলেও ভয় ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে। সেই ভয় অবশেষে কেটেছে টাইগারদের।

শুরুতে লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর বল হাতে নাসুমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৬২ রানে হারিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।

টাইগারদের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দেন হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে নাগালের খানিকটা দূরে থাকায় ক্যাচ অল্পের জন্য নিতে ক্যাচ পারেননি নাসুম।

তার এক বল পরেই ক্যাচ দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। রানের খাতা খোলার আগে ইয়াসির আলীর তালু বন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গুরবাজকে।

দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে চতুর্থ বলে উইকেট নিতে পারতেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দেন জাজাই তবে মুনিম শাহারিয়ার নাগাল না পেয়ে মিস করেন।

প্রথমে শূন্য, পরে পাঁচ রানের মাথায় জীবন পাওয়া জাজাইকে শেষ পর্যন্ত ফেরান নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলেই জাজাইকে তুলে নেন ৫ রানে। একই ওভারের তৃতীয় বলে দারউইশ রাসুলিকে সাজঘরে ফেরান ২ রানে।

এরপর নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে কারিম জানাতকে ফেরান ৬ রানে। নাসুম একাই ধ্বস নামান আফগান ব্যাটিং লাইন-আপে। শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি সফরকারীদের।

অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে ১৬ (১৯) রানে ফেরান সাকিব আল হাসান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ (২৬) রানের ইনিংস খেলা নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও ফেরান সাকিব।

রশিদ খানকে ১ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর ২০ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৮৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন কায়েস আহমেদ (১), মুজিব উর রহমান (৪), ফজল হক ফারুকীরা। আফগানরা মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় ১৭.৪ ওভারে।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১০ রান তুলে নেন নাসুম আহমেদ, ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ২ উইকেট নেন সাকিব ও ১টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে নাঈম শেখ বিদায় নেন ২ রান করে ফজল হকের বলে এলবিডব্লু হয়ে। অভিষিক্ত মুনিমের ব্যাটে দ্রুত রান আসলেও শেষে রসিদ খানের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন ১৮ বলে ১৭ রান করে।

একপ্রান্ত আগলে রেখে লিটন দাস রান তোলেন বেশ সাবধানী হয়ে। সাকিব আল হাসান ৫ রানে ক্যাচ দেন কায়েস আহমেদের বলে মুজিবের হাতে।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কাটাতে পারেননি রান খরা। ৭ বলে ১ চারে ১০ রান করে এলবিডব্লু হন আজমতউল্লাহ’র বলে। তবে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি বাঁধেন লিটন। আফিফ ২৫ (২৪) রান করে নবীর হাতে ক্যাচ দেন আজমতউল্লাহ।

আফিফ ফিরলেও লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলী ৮ (৭) রান করে সাজঘরে ফেরেন রান আউট হয়ে।

লিটন দাস ৪৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলে ফারুকীর বলে ক্যাচ দেন আজমতউল্লাহ’র হাতে। শেষে মেহেদীর ৫, নাসুম ও শরিফুলের সমান ৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ফারুকী ও ওমরজাই। ১ উইকেট করে নেন রশিদ খান ও কায়েস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top