সকল মেনু

দুবলার চরের অদূরে মিলল দুই লাশ

হটনিউজ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের চতুর্থ দিনে মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে রুহুল হাওলাদার (৪২) ও শহিদুল মল্লিক (৪০) নামে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ।

জেলে রুহুল হাওলাদার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের উকিল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও শহিদুল মল্লিক একই উপজেলার ভাষা গ্রামের সৈয়দ আলী মল্লিকের ছেলে।

এনিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জেলের লাশ উদ্ধার হলো।

এখনো সন্ধান মেলেনি ৭ জেলে এবং ৭টি ফিশিং ট্রলারের।
শুক্রবার রাতে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চর সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে ২৫টি ট্রলার ডুবে ২৭ জেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।

বুধবারও নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, সুন্দরবন বিভাগ ও দুবলা শুটকী পল্লীর জেলেদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলা শুটকি পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দুবলার চর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে আরও দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ সাগরে ভাসমান অবস্তায় এই দুই জেলের লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে উদ্ধার লাশ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও জেলেদের সহায়তায় ৭ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৭ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ৭টি মাছ ধরা ট্রলারের কোনো সন্ধান এখনও মেলেনি।

বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ফিশারীঘাট মৎস্য আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আবেদ আলী শেখ জানান, শুক্রবার রাতে ঝড়ে বাগেরাটের কচুয়ার বগা গ্রামের আনিস সরদারের এফবি মায়ের দোয়া ও একই গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের এফবি মায়ের দোয়া নামে দুটি ফিশিং ট্রলার ডুবে ৮ জেলে নিখোঁজ হয়। এই দুটি ফিশিং ট্রলারসহ চার জেলের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো এই দুটি ফিশিং ট্রলারের ৪ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ এই ৪ জেলের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়।

মোংলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের পিসিজিএস তৌফিক নামে একটি জাহাজ এবং দুটি স্পিডবোট সাগরের প্রায় ২০ মাইল এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আমরা এ পর্যন্ত চার জেলের লাশ এবং তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। এছাড়া উদ্ধার করা দুটি ফিশিং ট্রলার মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top