সকল মেনু

রেলস্টেশনে ক্ষেপে গেলেন মন্ত্রী, দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার

হটনিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পরিদর্শনে এসে স্টেশনের সামনে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এসময় দায়িত্বহীনতা ও অব্যস্থাপনার দায়ে ডিআরএম এবং স্টেশন ম্যানেজারকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি।

সাময়িক বহিষ্কৃত কর্মকর্তারা হলেন-রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) এম শামস মোহাম্মদ তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী।

জানা গেছে, রেলওয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব হলো বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের। তিনিসহ অন্যরাও দায় এড়াতে পারেন না।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় পুরাতন রেল স্টেশনস্থ রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট্রের বহুতল ভবন নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী। পুরাতন রেল স্টেশন থেকে নতুন স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে স্টেশনের সামনে অপরিস্কার এবং অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি।

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধীতার মধ্যেই বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের নীতি হলো ৩০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিই) আওতায় উদ্যোগে গ্রহণ করা। সিআরবি প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। এই কমিটি মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষের পর এখন অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আসছে। এ বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। পক্ষ-বিপক্ষে যাই হোক না কেনো, আলোচনা চলছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়েই অনুমোদন দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব জমিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সিআরবি সংলগ্ন ছয় একর জমিতে নির্মিতব্য প্রকল্পটির নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স।

নভেম্বরে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা তো জনগণের জন্যই হাসপাতাল করছি। জনগণ বলতে আমরা কি বুঝব সেটা আপেক্ষিক বিষয়। এখানে অনেক মন্ত্রী, এমপিসহ বহু জনপ্রতিনিধিরা আছেন। তারা না চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে যাবে না। আমাদেরও প্রয়োজন নেই।

রেল নিয়ে বিগত সরেকারের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, সরকার নিজে ব্যবসা করে না। সরকারের নীতি হলো যারা ব্যবসা করছেন তাদের সহায়তা করা। যেটা আমাদের উন্নয়নের কাজে আসলো না তাদের আটকে রেখে লাভ নেই। অনেকে রেলেও জায়গা দখল করে বসে আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top