সকল মেনু

শিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ

হটনিউজ ডেস্ক:

মাদারীপুরের রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুর আলম মাতুব্বরের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে এক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

একইসাথে ঘটনাটি ধাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ন্যায় বিচার দাবি করে উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী আমিনুল ইসলাম।

একটি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্পর্কে এধরেণের নৈতিক স্খলন জনিত অভিযোগ ওঠায় সারা এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

একটি পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর যাবত স্বামী, এক কন্যা সন্তান, বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ি নিয়ে রাজৈরের বেপারীপাড়ার হাজী সিদ্দিক বেপারীর বাসায় ভাড়া থাকেন ওই গৃহবধূ। তাদের পাশেই ভাড়া থাকতেন রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুর আলম মাতুব্বর। তার স্বামী চাকরির সুবাদে দূরে থাকার সুযোগে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন এবং উক্ত বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি করার কথা বলে তাকে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করে।

পরে তার সাথে শারিরীক সম্পর্কের চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। এ সময় বাধা প্রদান করলে ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে ভয় ভিতি দেখায় এবং জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করে।

একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে শিক্ষকের স্ত্রীকে জানায়। কিন্তু তিনি তার স্বামীকে অক্ষম দাবি করে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘটনাটি জানালে তিনি শিক্ষক নুর আলমের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। পরে তারা ঐ এলাকা ত্যাগ করে নতুন ভাড়া বাসায় চলে যায়। সেখানেও তাদের হুমকি ধামকি দিলে গ্রামের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকসহ সহ ১১টি দপ্তরে অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র দাস বলেন, সত্য না হলে কেউ নিজের স্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের অভিযোগ পাঠাতে পারে না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুর আলম মাতুব্বর বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে মিমাংসার কথা চলছে।

অভিযোগ সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনীন্দ্র নাথ বাড়ৈ’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুর আলম মাতুব্বরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top