সকল মেনু

আরো বিপাকে সেই ২ গৃহবধূ, ঠাঁই মিলছে না শ্বশুরবাড়িতেও

হটনিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দায় রাজমিস্ত্রি প্রেমিকদের হাত ধরে ঘর ছাড়া দুই গৃহবধূকে আগামীকাল হাওড়া আদালতে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে তারা আরও বিপাকে পড়লেন, কারণ তাদের আর ফিরিয়ে নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রাজমিস্ত্রি প্রেমিকসহ পুলিশের হাতে ওই দুই গৃহবধূ আটক হওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন কর্মকার পরিবারের সদস্যরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস এর।

নিশ্চিন্দার কর্মকার পরিবারের ঘনিষ্ঠদের দাবি, পলাতক দুই বধূ অনন্যা ও রিয়াকে ফিরিয়ে নিতে চায় না তারা। তবে ছেলে আয়ুষকে ফিরে পেতে চায় পরিবার। এদিকে, পুলিশি জেরায় ওই দুই গৃহবধূ জানিয়েছেন, কেন তারা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার, তার জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ। জানা গেছে, অনন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। তার জা রিয়া বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাসের সঙ্গে। কিন্তু কেন? সে কথা পুলিশকে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া।
অনন্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আট বছর বিয়ে হলেও সন্তান হয়নি তার। কাজে ব্যস্ত স্বামী বেশি সময়ও দিতে পারতেন না তাকে। সব মিলিয়ে সংসার জীবনে একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল। একই সমস্যা তার জা রিয়ারও। ১০ আগে বিয়ে হওয়া রিয়ার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে না পারাতেই বিরক্তি তৈরি হয়েছিল তার মনেও।
এরকম অবস্থাতে রাজমিস্ত্রি শেখর এবং শুভজিতের সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। শেখর এবং শুভজিৎ দু’জনেই মিষ্টভাষী ছিলেন। দুই রাজমিস্ত্রি সহজে সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন বলে পুলিশে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া। এই গুণের জন্য দুই রাজমিস্ত্রি অল্প সময়ে মন জয় করে নেন কর্মকার পরিবারের গৃহবধূদের। ক্রমে তাদের আলাপ গাঢ় হয়। এরপরই তারা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে একাধিকবার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ২ বধূকে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা লেগেছিল। পুলিশ সূত্র বলছে, নিশ্চিন্দার আনন্দনগরে কর্মকার পরিবারের বাড়িটি নির্মিয়মান। দোতলা বাড়িটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই বাড়ির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন ২ রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর।

মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা সুভাষের সঙ্গে প্রথমে বড় বউ অনন্যা কর্মকারের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে অনন্যার কাছে ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই বাড়ি ছাড়ার আগে তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে যান ওই যুবক। সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই রাজমিস্ত্রি। এরপর ধীরে ধীরে আরেক রাজমিস্ত্রি শেখরের সঙ্গে ছোট বউ রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top