সকল মেনু

নিখোঁজের ৪ দিন পর নদী থেকে বেদে নারীর লাশ উদ্ধার

হটনিউজ ডেস্ক:

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জয়ন্তী নদী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে পপি আক্তার (২৫) নামে বেদে সম্প্রদায়ের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার কোলের সাড়ে ৩ বছর বয়সের ছেলে সন্তান তুহিনের এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় পাখির স্বামী আবুল বাশারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

নিহত পপি আক্তার (২৫) জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামারচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের ফজলু সরদারের মেয়ে। তার স্বামী গ্রেফতারকৃত আবুল বাশার ভোলার মো. আনসারের ছেলে। পপি সহ আবুল বাশারের তিন স্ত্রী। পপি ও বাশার দম্পত্তি বেদে বহরের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, গত ৪ নভেম্বর স্ত্রী পপি আক্তার নিখোঁজ হয়েছে মর্মে বাশার মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ওই সময় বেদে সম্প্রদায়ের নৌকা বহর ছিল জয়ন্তী নদীর রামচর এলাকায়। জিডির তদন্তে গেলে বাশার অসংলগ্ন কথা বলে। তার শারীরক ভাষাও ছিলো সন্দেহজনক। এ কারনে গত রবিবার রাতে বাশারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার রাতে জয়ন্তী নদীর নাতিরচর এলাকা থেকে পপি আক্তারের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ দিন লাশ পানিতে থাকায় ফুলে গেছে। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে সন্দেহ পুলিশের।
এদিকে ,পপির লাশ উদ্ধার হলেও তার কোলে থাকা সাড়ে ৩ বছরের সন্তান তুহিনের কোন সন্ধান এখনও মেলেনি। শিশু তুহিনকেও হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, পপি আক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই চুন্নু সরদার বাদী হয়ে বাশারকে প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে সোমবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাশারকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

ওই বেদে বহরের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাশার তার স্ত্রী পপিকে নৌকার বহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। পপি নৌকা ছেড়ে না যাওয়ায় প্রতিদিন বাশারের সাথে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। এ কারনে পপিকে হত্যা করা হতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, পপি বেগমের মৃত্যু রহস্য এবং তার সাড়ে ৩ বছরের সন্তানের সন্ধান জানতে বাশারকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top