সকল মেনু

প্রবাসীর ঘরে তিনজনের লাশ; গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শাহজালাল

হটনিউজ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক প্রবাসীর ঘর থেকে নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ঘাটাইল উপজেলার কাশতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নুদ্দিনের বাড়ি থেকে গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের মা জমিলা বেগম (৬০), স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) ও সুমির পরকীয়া প্রেমিক শাহ জালাল (৩০)।

তিনজনের লাশ উদ্ধারের এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রবিবার ভোরে ঘাটাইল থানায় এ মামলা দায়ের হয়। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, জয়নুদ্দিনের বড়ভাই জয়নালের স্ত্রী বাদী হয়ে আজ রবিবার সকালে ৩০২ ধারায় অজ্ঞাতনামা একটি মামলা দায়ের করেছেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে দাফনের জন্য।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আমরা রহস্য অনেকটাই উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তার ও তার শাশুরি জমেলা বেগমকে হত্যার পর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহজালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর সংসার করে। এরপর সুমির বাবা জিন্নত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেয়। ওই সময় সুমি অন্তঃস্তত্বা ছিল। পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়নুদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়নুদ্দিন আবার বিদেশে চলে যায়। সন্তান নষ্ট করায় শাহজালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, সুমির স্বামী জয়নুদ্দিন বাড়িতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই শাহজালাল সুমির শ্বশুরবাড়িতে আসতো। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহজালালের কাছে। পরে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুরিকে হত্যা করে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করে। বিভিন্ন আলামত ঘেটে আমরা বিষয়টির রহস্য উৎঘাটন করতে পেরেছি। তারপরও ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ হিসেবে পরকিয়াকে সন্দেহ করছে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন। তারা জানিয়েছেন- নিহত ওই যুবকের সাথে নিহত প্রবাসীর স্ত্রীর দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়াড় সম্পর্ক ছিলো। এর আগে, শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকায় প্রবাসী জয়নুদ্দিনের বাসায় তিন জনের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top