সকল মেনু

প্রেমিকের জিহ্বা কেটে নেওয়ায় প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ৪

হটনিউজ ডেস্ক:

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিকাকে জিহ্বা কর্তনের ঘটনায় প্রেমিকা শারমিন আক্তার, তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ধামরাইয়ের ফরিঙ্গা গ্রামের শারমিন আক্তার দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। বিদেশে থেকেই একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে নরসুন্দর সাইফুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কয়েকমাস আগে শারমিন দেশে আসেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিনের সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন সাইফুর।

এরপর শারমিনকে বিয়ে না করে তালবাহানা শুরু করতে থাকে প্রেমিক সাইফুর রহমান। এতে শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শনিবার রাতে শারমিন তাদের বাড়িতে ডেকে নেন সাইফুরকে। এরপর সাইফুরের হাত-মুখ বেধে বেদম মারপিট করতে থাকেন শারমিনের স্বজনরা। একপর্যায়ে জিহ্বা কেটে ফেলা হয় সাইফুরের। রাতেই জানাজানি হয়ে যায় ঘটনাটি। এরপরই শারমিনের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়।
এ সময় এলাকাবাসী সাইফুরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সাইফুরের বাবা রহমত আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে সাইফুর রহমানের বাবা রহমত আলী জানান, শুধু প্রেমের সম্পর্ক নয়, শারমিনের কাছে পাওনা ৬০ হাজার টাকা চাওয়ার কারণেই তার ছেলে সাইফুর রহমানকে কৌশলে আটকিয়ে মারধর ও জিহ্বা কেটে দিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তন্ময় সাহা বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার রাতে এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিকা শারমিনসহ তার পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top