সকল মেনু

সম্মানিত ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর: র‍্যাব

হটনিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ হারানো আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্মানিত ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন বলে জানিয়েছে র‍্যাব। আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রথমে সখ্যতা তৈরি করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতেন সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর। যাদের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য আমরা পেয়েছি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে‌।

তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির জন্য থেমে থাকেননি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে তার। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যাকেই প্রয়োজন হয়েছে তাকে তিনি ঘায়েল করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন শুধুমাত্র উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। তিনি রাষ্ট্রের ব্যক্তিদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন যা তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, জনগণের মধ্যেও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি গত দুই বছরে বিভিন্ন মাধ্যম এবং টেলিভিশনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, এজেন্সি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা আদায় করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কারও কাছ থেকে দশ হাজার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কী কারণে টাকা নিয়েছেন এবং কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে- এ বিষয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এসবের দায় অফিস স্টাফদের ওপর চাপিয়েছেন তিনি। হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় এবং অফিস থেকে যে পরিমাণ ভাউচার পাওয়া গেছে তা এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জয়যাত্রা টেলিভিশন এর আইডি কার্ড ব্যবহার করে অনেক প্রতিনিধিও এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর আমাদেরকে জানিয়েছেন, তার ১৫ থেকে ১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা টাকাগুলো তিনি ফাউন্ডেশনে কাজে লাগাতেন। সুনামগঞ্জে তিনি ত্রাণ বিতরণ করায় স্থানীয়রা তাকে পল্লী মাতা উপাধি দিয়েছেন। ফাউন্ডেশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক টাকা এনেছেন। এগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top