সকল মেনু

বাব-মা-বোনকে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে যা বলেছিলো মেহজাবিন

হটনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর কদমতলী থানার ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে বাবা, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওই পরিবারের শিশুসহ আরও দুজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল (২১)।

হাসপাতালে যে দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে, তারা হলেন-মাসুদ রানার আরেক মেয়ে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুম।

পুলিশ জানিয়েছে, মেহজাবিন তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করার পর আজ সকাল ৮টায় ৯৯৯-এ কল করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা দ্রুত না আসলে আমার স্বামী ও মেয়েকে খুন করে ফেলব।’

পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। আর মেহজাবিনের স্বামী ও সন্তানকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকে পাঠায়।

পুলিশের ধারণা, শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তিনজনকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

ওয়ারী জোনের ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, মেহজাবিন হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে ফোন দেয়। পুলিশ দ্রুত না গেলে তার স্বামী ও সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছে।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন,‘আমরা মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। গতকাল রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে তাদেরই আরেক মেয়ে। সেই মেয়েকে আটক করা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top