সকল মেনু

বাবার কিনে দেওয়া রশিতে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ

হটনিউজ ডেস্ক:

শরীরচর্চার জন্য বাবার কিনে দেওয়া রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েলী রোগের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু পুলিশ ওই মেয়ের ঘর থেকে লেখা একটি চিঠি ও মোবাইল জব্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের গুঞ্জাবাড়ী ইস্কন মন্দির এলাকায়। আজ সোমবার (৭ জুন) দুপুরে ওই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের নাম ভুমিকা অধিকারী (১৭)। ওই এলাকার বিবেক চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে। তবে তারা স্থানীয় নয়, গত ১৪ দিন আগে পরিবারসহ বিবেক অধিকারী ওই এলাকার পরিতোষ রায়ের বাড়ির নিচ তলা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। এর আগে তারা শহরের বালুবাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

জানা গেছে, বিবেক অধিকারী পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। তার মেয়ে নিহত ভূমিকা অধিকারী দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিনের মতো শোবার ঘরে ঘুমাতে যায় সে। তারপরে আজ সোমবার সকালে তাকে বাবা ডাকাডাকি করলেও কোনো রকম সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে তার বাবা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে সিলিং ফ্যানের (বৈদ্যুতিক পাখা) সঙ্গে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি চিঠি, মোবাইলসহ কিছু ব্যবহৃত উপকরণ উদ্ধার করেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, শরীরচর্চার জন্য কয়েকদিন আগে ভূমিকা অধিকারকে তার বাবার একটি রশি (লাফানোর রশি) কিনে দেন। সেই রশি দিয়েই গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেয়েলী সমস্যার কারণে ভূমিকাকে চিকিৎসার জন্য দুই থেকে তিন বার কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিবারের দাবি সে কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে ভূমিকা।

দিনাজপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, আমরা একটি চিঠি উদ্ধারে করেছি। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top