সকল মেনু

বেড়ায় একরাতেই দুই খুন, এক আত্মহত্যা

হটনিউজ ডেস্ক:

পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানায় এক রাতেই দুটি খুন ও এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে বেড়ার আমিনপুর থানাধীন মাষ্টিয়ায় গ্রামের ভ্যানচালক মন্টু সেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মন্টু সেখ জাতসাখিনী ইউনিয়নের টাংবাড়ি (মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত্য সোহরাব শেখের ছেলে।

উপজেলার রাজনারায়ণপুর গ্রামের রাত আটটার দিকে সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে স্বদেশ চন্দ্র সাহাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বদেশ চন্দ্র সাহা জাতসাখিনী ইউনিয়নের নগরবাড়ি রাজনারায়ণপুর গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন সাহার ছেলে।

অপরদিকে শুক্রবার (২১ মে) ভোর রাতে শিমুলিয়া গ্রামে গাছের ডালে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন রানা আহমেদ (২৫) নামে এক যুবক। আত্মহত্যা করা রানা আহমেদ শিমুলিয়া গ্রামের ফজের আলীর ছেলে।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মাস্টিয়া গ্রামের ইচের বিলের পাশে মন্টু সেখের লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও ভানগাড়িটি উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারনা নিহত মন্টুর সেখ ছিনতাইকারীদের চিনতে পাড়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাত আটটার সময় বাড়ি নগরবাড়ি নতুন বাজার এলাকায় স্বদেশ চন্দ্র সাহার দোকান থেকে সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে হালিম মোল্লার সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্বদেশকে কিলঘুষি ও পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে পেটাতে থাকে। এ ঘটনার এক পর্যায়ে তিনি মারা যান। হালিম মোল্লা পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চর বোরামারা গ্রামের কাইম মোল্লার ছেলে।

এদিকে শুক্রবার ভোর রাতে জাতসাখিনি ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে রানা আহমেদ (২৫) নামের এক যুবক গলায় গামছা পেঁচিয়ে আতা গাছের ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। রানা শিমুলিয়া গ্রামের ফজের আলীর ছেলে।

তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রানা সাত-আট মাস আগে বিবাহ করেছে। ভোরে তার স্ত্রী তাকে বিছানায় না পেয়ে ঘরের বাহিরে আসতে চাইলে সে দেখে ঘরের বাহির থেকে শেকল দেওয়া। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে দেখে আতা গাছের সাথে সে ঝুলে আছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা জায়নি।

তিনটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সুজানগর-আমিনপুর সার্কেল অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন, আমিনপুর থানার ওসি মো. রওশন আলী, আমিনপুর থানার ওসি তদন্ত মো. তানভীর আহম্মেদ সবুজ, আমিনপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. শফিকুল আলমসহ থানার অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।

পুলিশ বলছে, এ হত্যার কারণ সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বের করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমিনপুর থানার ওসি মো. রওশন আলী জানান, মৃত মন্টু শেখের ছেলে আশরাফুল বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের সনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে। স্বদেশের বিষয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা করা রানার লাশও শুক্রবার দুপুরে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা জাবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top