সকল মেনু

ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল প্রসূতির ও গর্ভের সন্তানের!

হটনিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় বুধবার (১৯ মে) সকালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির ও গর্ভের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মৌচাক পপুলার হসপিটালে। নিহত আরদিন আকতার (২০) কালিয়াকৈর উপজেলার শেজারি কাঠালতলী গ্রামের আমির হামজার মেয়ে।

স্বজনদের অভিযোগ, বুধবার সকালে প্রসবের বেদনা নিয়ে মৌচাক পপুলার হাসপাতালে ভর্তি হয় আরদিন আকতার। তাকে ব্যথার স্যালাইন দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন দ্রুত সিজার করতে হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শব্দ শুনে আরদিনের মা মমতাজ ও ছোট ভাই থিয়েটার রুমের সামনে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখতে পান, নার্সরা আরদিনের হাত-পা চেপে ধরে রেখেছে। পরে স্বজনরা জানতে পারেন ইনজেকশন দেয়ার পরই সে কান্না করছে। ভেতর থেকে নার্স বের হয়ে সরিয়ে দেন তাদের।

স্বজনরা আরও জানান, কয়েক ঘণ্টা পার হলেও প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গৃহবধূর স্বামী ইমনকে ডেকে বলে আপনার স্ত্রীকে ঢাকা নিতে হবে। এ হাসপাতালে তার সিজার হবে না। পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে গৃহবধূকে বের করে দেয়। তখন প্রসূতি আরদিনের কোনো জ্ঞান ছিল না, তবে মুখ দিয়ে কি যেন বের হচ্ছিল। পরে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের টঙ্গী একটি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন আরদিনকে। আর গর্ভে থাকা বাচ্চাটিও মারা যান।

নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন, ডাক্তাররা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। সুস্থ মেয়ে নিয়ে এসেছি আমি, তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি বিচার চাই।

এ বিষয়ে মৌচাক হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আল-বেলালী জানান, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি জানা নেই। তবে তদন্ত করে দেখা হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top