সকল মেনু

শিবচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ৮

হটনিউজ ডেস্ক:

জমি সংক্রান্ত ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে শিবচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থগিত হওয়া এক ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ৭-৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা ও শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, স্থগিত হওয়া শিবচর উপজেলার মাদবরচর ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন আকনের সাথে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক মুন্সীর সমর্থক আইয়ুব আলী মাস্টারের সাথে গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদবরচর ইউনিয়নের বেইলী ব্রীজ এলাকায় আবারও হারুন আকন ও আইয়ুব আলী মাস্টারের সাথে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় দুই পক্ষের লোকজনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন আকন ও তার ২-৩ সমর্থক আহত হয়। আর অপর পক্ষের মাওলাকাত ফকির (৬৫), তার ছেলে শাহাদাৎ ফকির (৩০), মেয়ে খাদিজা বেগম (২০), ছোট ভাই বাবুল মাস্টার ও আইয়ুব আলী মাস্টার (৫০) আহত হয়। আহতদের শিবচর হাসপাতালে আনার পথে পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় হারুন আকনের লোকজন প্রতি পক্ষের লোকজনের উপর আবারও হামলা চালায় বলে আহতরা অভিযোগ করেন। আহত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ঢাকায় ও অপর আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আহত মাওলাকাত ফকির বলেন, আমার ভাই বাবুল মাস্টার আর আইয়ুব আলী মাস্টার বেইলী ব্রীজ এলাকার ভিআইপি মোড়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এমন সময় হারুন আকনের নেতৃর্ত্বে তার লোকজন হঠাৎ করে তাদের উপর হামলা চালায়। একথা শুনে আমি আর আমার ছেলে বাঁধা দিতে গেলে ওরা আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরেছে। তারপর আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর করেছে। বাঁধা দেওয়ায় আমার মেয়েকেও মেরে আহত করেছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন আকন বলেন, বিকেলে আমি বেইলী ব্রীজ এলাকার একটি মসজিদ থেকে নামাজ আদায় শেষে বের হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক মুন্সীর সমর্থক আইযুব আলী মাস্টারসহ ওরা কয়েকজন আমার উপর হামলা চালিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এতে আমি ছাড়াও আমার আরো ৩ সমর্থক আহত হয়েছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক মুন্সী বলেন, কয়েকদিন আগে জমিজমা নিয়ে বিরোধে আমার সমর্থক আইয়ুব আলী মাস্টারকে হারুন আকন মারধর করে। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই আজ আবার আমার লোকজনের উপর হারুন আকন লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিরাজুল হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি। মামলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top