মাদারীপুর প্রতিনিধি:
শিবচর থেকে শিশু রায়হান মুন্সীকে (৫) অপহরণের তিন দিন পর জামালপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের সদস্যরা। শনিবার বেলা ১২টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ জানান, গত ২৩ মার্চ শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের চরগুপ্তেরকান্দি গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রায়হান মুন্সীকে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে দোকানে নিয়ে যায় স্থানীয় বিল্লাল মুন্সীসহ কয়েকজন। পরে অনেক খোজা-খুঁজির পরেও না পেয়ে ওই দিন রাতে শিবচর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে শাহজাহান মুন্সী।
এক পর্যায়ে ২৪ মার্চ শাহজাহান মুন্সীর কাছে দশ হাজার টাকা বিকাশে দিতে বলে ছালাম মুন্সী নামে এক ব্যক্তি ও পরে বাড়ির জমি আসামীদের নামে লিখে দেওয়ার দাবি করেন। সেই দিন রাতেই শিবচর থানা নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় বিকাশে টাকা দেয়া হলে সেই সূত্র ধরে ঢাকার ডিবির একটি চৌকস দলের সাথে শিবচর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৬ মার্চ রাতে জামালপুর সদরের রেল স্টেশন এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে শিশু রায়হান মুন্সিকে উদ্ধার করে। এসময় চার অপহরণকারী বিল্লাল মুন্সী, রাসেল মুন্সী ও পিতা ছালাম মুন্সী এবং মা শিরিনা আক্তার ওরফে পারভিনকে গ্রেফতার করে। এদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপহরণকারীদের বাড়ী একই এলাকায়। তারা সর্ম্পকে শাহজাহান মুন্সী চাচাতো ভাই ও নিকট আত্মীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা দোষ স্বীকার করেছেন।
রায়হানের পিতা শাজাহান মুন্সীর সাথে আসামী ছালাম মুন্সীর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিল। ছালাম মুন্সীর পরিবার দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় বসবাস করত। সম্প্রতি শিবচরে এসে দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্তে শত্রুতা জেরে রায়হানকে অপহরণ করেছে বলে আসামীরা পুলিশকে জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।