হটনিউজ ডেস্ক:
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘শান্তি ও উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী,এসজিপি, পিবিজিএমএস,এনডিসি, পিএসসি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধু হলেন সারাবিশ্বের শোষিত, মজলুম, দুঃখী, মজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মহান নেতা।ঐতিহাসিক পটভূমির স্রষ্টা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে একান্তই নিজের মতো করে উন্নয়ন ও শান্তিতে তাঁর দর্শন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা বাঙ্গালীসহ বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তি সনদ হিসেবে কাজ করবে অনন্তকাল। মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন শোষন মুক্ত সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন হলো, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’।
মহাপরিচালক আরও বলেন,স্বাধীনতার পরপরই দেশ গঠন ও উন্নয়নের রুপরেখা প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু, একইসাথে যুদ্ধ, ধ্বংস ও অশান্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। সারা পৃথিবীতে শান্তির পতাকা হাতে আর্বিভূত হলেন মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে শান্তির দূত বঙ্গবন্ধুর ‘জুলি ও কুড়ি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির বিষয়টিও মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন শক্তিশালী ও জীবন্ত।
ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদুর রহমান খান, এনডিসি, পিএসসি, টিই, তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও জীবন দর্শন তুলে ধরেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক, সেলিনা বানু তার বক্তব্যে বলেন, শান্তি ও উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শন হলো বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ,ধর্ম নিরপেক্ষতা,সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতা ভিত্তিক।এছাড়াও কর্মশালা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা, পরস্কার বিতরণী ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের পর জাতির পিতা এবং ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালে শাহাদাতবরনকারী তাঁর পরিবারবর্গের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, উপরোল্লিখিত দুইটি অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস,আগারগাঁও, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা ও যাত্রবাড়ী, পাসপোর্ট অফিস বাংলাদেশ সচিবালয় এবং পাসপোর্ট অফিস ঢাকা সেনানিবাসের কর্মকর্তা,কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।