স্পোর্টস ডেস্ক
জেসন হোল্ডারসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নিয়মিত ১২ খেলোয়াড় আসেননি বাংলাদেশ সফরে। দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোয় কম হতাশ হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটবোদ্ধারা।
আর সেই খর্বশক্তি দলের বিপক্ষেই নাকানিচুবানি খাচ্ছে মুমিনুল বাহিনী।
চট্টগ্রাম টেস্টে অবিশ্বাস্য হারের পর ঢাকায় জয়ের সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ।
প্রথম দিনে বোলাররা সমীকরণটা সহজই করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর সেটির ধাবাহিকতা দেখা যায়নি। যে কারণে দৃশ্যপট এমনভাবে পাল্টে গেল যে, এখন ফলোঅনে পড়ার শঙ্কায় ভোগছে টাইগাররা।
সফরকারীদের ৪০৯ রানের বড় ইনিংসের পর শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেটে ১০৫ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩০৪ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ মুহূর্তে সংগ্রহ ১২৬ রান। অর্থাৎ ফলোঅন এড়াতে এখনও ৮৪ রান দরকার বাংলাদেশের।
এই ৮৪ রান করতে গিয়ে টপঅর্ডারদের মতো যদি বাকি উইকেটগুলোও হারিয়ে ফেলে, তাহলে লজ্জার ইতিহাসে নাম লেখাবে বাংলাদেশ।
কারণ ঘরের মাঠে গত এক দশকে কখনও ফলোঅনে পড়তে পারেনি বাংলাদেশকে।
এবার সে রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখার দায়িত্ব মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের ঘাড়ে পড়েছে। কাজটা এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবেই এগিয়েও নিচ্ছেন তিনি। মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গী করে শুক্রবার দিনের শেষভাগে ২০ ওভার একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন। ৬১ বল মোকাবিলা করে মাত্র ৬ রান করেছেন মিঠুন।
তাতে অবশ্য মোটেও কষ্ট নেই টাইগার সমর্থকদের। এখন এটাই যে চাই। আগে ফলোঅনের লজ্জার রেকর্ড থেকে বাঁচুক টাইগাররা। এরপর ৪০৯ রানের কতো কাছাকাছি যাওয়া যায় তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা ভাবা যাবে।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে এমন সমীকরণ নিয়েই ব্যাট হাতে নেমেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মিঠুন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৬ রান। ৪৯ রানে অপরাজিত মুশফিক ও ১১ রানে অপরাজিত মিঠুন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।