সকল মেনু

নতুন বছরে বন্ধন হোক দৃঢ়

করোনা মহামারি ২০২০ সালকে বিষিয়ে তুলেছে। ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বদলে দিয়েছে মানুষের জনজীবন। পাল্টেছে অভ্যাসও। এখন আমরা আরো বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। সম্পর্কসচেতনও। লকডাউনে দীর্ঘ সময় গৃহে থাকার ফলে দৃঢ় হয়েছে বন্ধন। আবার অনেকে একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছেন। ফলে গৃহবিবাদও কম হয়নি। ২০২১-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পুরো বিশ্ব।

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই আমরা সম্পর্কের তিক্ততা, ভুল বোঝাবুঝি ভুলে নতুন করে শুরু করতে পারি। নতুন বছরে প্রতিটি সম্পর্কের বন্ধন হোক দৃঢ়, এ প্রত্যাশা সবার। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। আসুন, একঝলকে সেসব দেখে নিই—

ভুল বোঝাবুঝি দূর করুন

দৃঢ় সম্পর্কও ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিক্ত হয়। আপনি ও আপনার সঙ্গী যদি সত্যিই দুজন দুজনকে তীব্রভাবে ভালোবাসেন, তবু ভুল বোঝাবুঝি সব পাল্টে দিতে পারে। তাই সম্পর্ক ঝালিয়ে নিন। সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান করুন। আর তা শুরু হোক নতুন বছরের প্রথম দিনেই।

একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটান

যদি দুজনই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবু সময় বের করুন। আগের চেয়ে একে অপরকে বেশি সময় দিন। মানুষ সঙ্গপ্রিয়। একটা সময় আসে, যখন খুব একা মনে হয়। আর সে সময় সঙ্গীকে পাশে না পেলে হতাশা জাগেই। তাই নতুন বছরে একে অন্যকে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি এরই মধ্যে আপনাদের সম্পর্কে বেশ দূরত্বও তৈরি হয়, এই দীর্ঘ সময় কাটানোর ফলে সে দূরত্ব ঘুচতে পারে। সশরীরে উপস্থিতির ব্যাপার তো আছেই। এ ছাড়া ভিডিও কল, টেক্সট, কখনো হঠাৎ হাজির হতে পারেন সঙ্গীর কাছে।

মুখোমুখি আলাপ করুন

সম্পর্কে সব সময় খোলামেলা আলাপ হওয়া জরুরি আর সেটা হতে হবে মুখোমুখি। একসঙ্গে বসুন। কথা বলুন। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি ও অপ্রত্যাশিত ব্যাপারগুলো নিয়ে আলাপ করুন। কোনো জড়তা ছাড়াই সব বলুন। এতে আপনার সঙ্গী মন থেকে গ্রহণ করবে। আর হ্যাঁ, সঙ্গীর কাছ থেকে এ সময় কোনো কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেন না। এতে বন্ধন দৃঢ় হবে।

সততা বজায় রাখুন

নতুন বছরে আপনি একটি ওয়াদা করতেই পারেন, সঙ্গীর প্রতি সৎ হবেন। সম্পর্কে সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু লুকাবেন না। এতে দুজনের বন্ধন শক্তিশালী হবে।

মানসিক অন্তরঙ্গতায় নজর দিন

যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, মানসিক অন্তরঙ্গতাও একই ভূমিকা পালন করে। সম্পর্কে যদি আবেগীয় দিকগুলো সুদৃঢ় না থাকে, তবে তা শিথিল হবেই। একে অপরের আবেগ, চিন্তাধারা, অনুভূতি, মতামতকে গুরুত্ব দিন। একে অপরকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করুন।

ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া এড়ান

বড় কিছু নয়, বেশির ভাগ সময় আমরা এমন বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ি, যা পরে ভাবলে হাসি পায়। এসব অপ্রয়োজনীয় ঝুটঝামেলা থেকে এড়ানোর প্রতিজ্ঞা করুন নতুন বছরে। সারা দিন কি বাচ্চাদের মতো এটা-ওটা নিয়ে ঝগড়ায় পড়ে থাকবেন? সম্পর্ক কোনো প্রতিযোগিতা নয়। তাই, এসব যাতে আর কখনো না হয়, সেদিকে অবশ্যই অধিক খেয়াল রাখবেন।

বলুন কম, শুনুন বেশি

আমরা অনেকে যেন অপরের কথা শুনতেই চাই না। শুধু বলে যেতে পারলেই যেন খুশি। এটা কিন্তু ঠিক নয়। সঙ্গীর চিন্তাভাবনা, মতামত ও অনুভূতিকে প্রাধান্য দিন। সঙ্গী যখন কোনো কিছু প্রকাশ করবে, তখন মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। কথার ফাঁকে কথা বলে উঠবেন না। এতে আলাপচারিতা মসৃণ হবে। আর সম্পর্কও হয়ে উঠবে শক্তিশালী।

সহায়ক, যত্নবান ও ভালোবাসাময় সঙ্গী হোন

নতুন বছরে নিজেকে সহায়ক, যত্নবান ও ভালোবাসাময় সঙ্গী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করুন। যদি আপনি যত্নবান না হন, তাহলে সম্পর্কে তিক্ততা অবশ্যম্ভাবী। প্রত্যেকেই চায় তার সঙ্গী সাপোর্ট করুক, যত্ন নিক আর ভালোবাসায় ভরিয়ে দিক হৃদয়। প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপন করুন দুজন। দেখবেন সম্পর্কের বিগত জঞ্জাল সরে গেছে।

নতুন বছরে সবার সম্পর্কে ফিরুক নতুন গতি ও প্রাণচাঞ্চল্য, এমনটাই প্রত্যাশা। আপনার কী মত?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top