সকল মেনু

একটি সেতুর অভাবে অর্ধলাখ মানুষের ভোগান্তি

দুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজ করার প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনে জয় পেয়ে বারবার জনপ্রতিনিধি পাল্টালেও গোপালগঞ্জ সদরের রঘুনাথপুর দীঘারকুল খালের বাশের সাঁকোটি পরিবর্তন হয়নি দীর্ঘ ২৫ বছরেও। নড়বড়ে হয়ে যাওয়া সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করছে চার গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে স্কুলগামী কোমলমতি শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধরা। সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। ব্রীজ নির্মাণ হলেই গ্রামবাসীর ভাগ্যের পরির্বতন আসতে পারে বলে জানায় এলাকাবাসী। দুর্ভোগ লাঘবে আর প্রতিশ্রুতি নয় এবার একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ চান এলাকাবাসী। মধুমতি নদীর শাখা এই দীঘারকুল খালটি পার হয়ে নিয়মিত শহরে যেতে হয় রঘুনাথপুর ইউনিয়নের দীঘারকুল, ব্যাপারী পাড়া, চরপাড়া ও ঘোষগাতী গ্রামের অর্ধলাখ মানুষকে।

ঝুঁকি নিয়ে বাশের সাঁকো দিয়ে এপার থেকে ওপারে যায় স্থানীয় রঘুনাথপুর দীননাথ উচ্চ বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর দ:পা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কিশলয় বিদ্যানিকেতন(কেজি) স্কুল, দীঘারকুল সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, ব্যাপারী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। ঝুঁকির্পূণ সাঁকো দিয়ে অনেকটা ভীতির মধ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান। খালটির ওপর কোন সেতু না থাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারেন না। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার ও কৃষি কাজের জন্য দু’পাড়ের মানুষকে প্রায় সময়ই খাল পার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। ফলে এলাকাবাসী তাদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতকরণে অসুবিধার সম্মুখীন হন। কখনও বাশের সাঁকো, আবার কখনও ছোট নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় এলাকাবাসীর। প্রতিশ্রুতি নয় এবার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান ভূক্তভোগী মানুষ।

রঘুনাথপুর বাসিন্দা সোহেল খান বলেন, অনেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমাদের যাতায়াতের পথে সেতু নির্মাণ করে দেয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর খোঁজ-খবর নেয়নি। ১২০নং দীঘারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী শৈলী, রাব্বি জানায়, সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে ভয় করে। তাই আব্বা-মা স্কুলে নিয়ে যায়। এখানে একটা ব্রিজ হলে ভাল হয়।

স্থানীয় শিক্ষক সরজিৎ বিশ্বাস বলেন, আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়। সাঁকো পার হওয়ার সময় পা পিছলে নিচে পরে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক। তাই স্থানীয়দের জন্য সেতুটি অত্যন্ত জরুরী। অতিসত্ত¡র সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি। রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য পরিক্ষা-নীরিক্ষা ও পরিমাপ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top