সকল মেনু

সমস্ত ক্ষেত্রেই সরকার স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: ফখরুল

হটনিউজ ডেস্ক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আজকে সমস্ত ক্ষেত্রেই সরকার স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দলীয়করণ করে নষ্ট করেছে। অর্থনীতিকে আজকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনডিপির প্রকাশিত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আজকে বলা হচ্ছে যে, এই সরকার যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। তারা নিজেরাই নিজেদের কথা বলছে এবং তারা নিজেদেরকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল বলছে। আজকের পত্রিকায় আছে যে, ইউএনডিপি গতকাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গোটা এশিয়াতে কী অবস্থান, কোন কোন দেশের কি অবস্থায় আছে। তাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াতে পঞ্চম। ভুটানেরও নিচে। এখানেই বোঝা যায় যে, আসলে আমাদের উন্নয়নে কথা যেটা বলা হচ্ছে, এটা আসলেই জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা ক্ষমতায় জোর করে টিকে থাকতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সমস্ত ক্ষেত্রেই সরকার স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধবংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দলীয়করণ করে নষ্ট করেছে, তারা অর্থনীতিকে আজকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। তারা পার্লামেন্টকে পুরোপুরি একটা অকেজো পার্লামেন্ট তৈরি করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আপনারা দেখেছেন যে, বিশিষ্ট নাগরিকরা তারাই তাদের বক্তব্য রাখছেন, বলছেন যে, এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে সম্ভব হবে না।

দলের পক্ষ থেকে নেওয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যে মূল চেতনা নিয়ে সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি, প্রাণ দিয়েছি। আমাদের লাখ লাখ মানুষ তারা শহীদ হয়েছেন, মা-বোনেরা তারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। অনেক মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের। সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং গণতন্ত্রের জন্য যারা সেদিন লড়াই করেছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন তাদের সেই মর্যাদাটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।

তিনি বলেন, আমাদের দুঃখ হয় যখন দেখি যে, একজন অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে যখন আমরা দেখি কারাগারে। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

আমরা যখন দেখি যে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অপমান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রধান ছিলেন বা যারা সামনের সারির ছিলেন, যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। আসুন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে পালন করি। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সম্মান প্রতিষ্ঠা করি এবং মূল যে লক্ষ্যটি গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top