সকল মেনু

সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো!

হটনিউজ ডেস্ক:

পাবনার চাটমোহরে গ্রামের মধ্যে সদ্যনির্মিত একটি সেতুতে পারাপার হতে জনসাধারনকে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এ এলাকার জনগনকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগসোয়াইল গ্রামে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় বড়াল নদ থেকে বিলকুড়ুলিয়া সংযোগ খালের ওপর ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ ৯২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এ এলাকার জনগণকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। বাঁশের সাঁকোটিও নড়বড়ে হওয়ার সময় ছোট ছেলে-মেয়েদের নিচের খালে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য কাগজে কলমে ৩৬ ফুট থাকলেও বাস্তবের দৈর্ঘ্যের সাথে তার কোনো মিল নেই।

সম্প্রতি সরেজমিন সেতুটি দেখতে গেলে আগসোয়াইল গ্রামের আব্দুল গফুর খাঁর ছেলে হাসান আলী জানান, এ সেতুর ওপর দিয়ে পূর্ব পাড়ের টলটলি পাড়া, পাঁচশোয়াইল, শ্রীধরপুর, ধুলাউড়ি, হরিপুর এবং পূর্ব পাশের পুরান পাড়া, শালমারা, দোলং, রামনগর এলাকার লোকজন চলাচল করে। গত এক সপ্তাহে আজিজুল ও মনিরা নামের দুই শিশু বাঁশের সাঁকো থেকে নিচের খালে পরে আহত হয়। আমি এবং পশ্চিম পাড়ের হাসান আলী মানুষের নিকট থেকে বাঁশ চেয়ে এনে এ সাঁকোটি দিয়েছিলাম। বর্তমান এ সেতুর ওপর দিয়ে কোনরকম যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে এ এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সেতু পাড়ের বাসিন্দা জিন্নাত আলী জানান, সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় জুলাই মাসে। তার পর দুই পাশ ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যায়। সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান জানান, ইতোমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকিয়ে দিয়েছি। ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হলে একটি টাকাও তাদের দেওয়া হবে না মর্মে জানানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাট করে দিবেন বলে ঠিকাদার আমাকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি জানার পরই ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকে দিয়েছি। কাজ পুরোপুরি শেষ না করা পর্যন্ত বিল দেওয়া হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top