সকল মেনু

বিয়ের ছয় মাস পর লাশ হলেন নববধূ, স্বামী পলাতক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে মোছাম্মত সীমা বেগম (১৮) নামে এক নববধূর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী মো. আপন মিয়া ও স্বজনরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই নববধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। সিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সীমার পরিবারের দাবি, যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত সীমা বেগম হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের লামার বাড়ির মো. মুসা মিয়ার মেয়ে। এদিকে মেহেদীর রং না মুছতেই সিমার এমন অকাল মৃত্যুেতে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. নেয়ামত উল্লাহ জানান, গত ৬ মাস আগে আপন মিয়ার সাথে সীমার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সীমার পরিবার গরীব অসহায় হওয়ায় চাহিদা মত যৌতুক দিতে পারে নি। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। পরে সীমাকে গত ২ মাস আগে আরও যৌতুকের জন্য আখাউড়ায় বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আপন মিয়া। কিন্তু সিমার ৫ বোন ১ ভাই, মা নেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকেন। সীমার বড় বোন বিদেশে থাকে। সে যৌতুক দেওয়ার আশ্বাস দিলে সীমাকে আপন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ফোন করে সকালে আপনের পরিবার জানায়, সীমা আত্মহত্যা করে মারা গেছে। লাশ সদর হাসপাতালে আছে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে সীমার শ্বশুর বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। সীমার সারা শরীর, গলায়, গাল ও যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা বিচার চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top