সকল মেনু

ইসরায়েলের জন্য নিজেদের আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিল সৌদি আরব

হটনিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি গোপনে সৌদি আরব সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকও করেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।

এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ও তার জামাতা জেরার্ড কুশনার ও তার টিম মধ্যপ্রাচ্য সফর করার চিন্তা করছে। আর এর মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সৌদি আরব। সেটি হচ্ছে, ইসরায়েলের জন্য নিজেদের আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিল দেশটি। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।

মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলের সুবিধার্থে ইসরায়েলকে আকাশপথ খুলে দিয়েছে সৌদি আরব।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা সোমবার রয়টার্সকে বলেন, “আমরা বিষয়টি মীমাংসা করতে পেরেছি।”

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “আমিরাত ও বাহরাইনে ইসরায়েলি বিমান যাতায়াত নিয়ে যেকোনও সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।”

সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। এর পেছনে জেরার্ডের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে।

এদিকে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে বিরোধ মেটাতে তৎপর ট্রাম্প-জামাতা কুশনার। এ নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলন হামাস ও মিসরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সহায়তার অভিযোগ আনে সৌদি আরব।

দেশটি সঙ্গে যোগ দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। ২০১৭ সালে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে আরব দেশগুলো। এখন সৌদি ও কাতার উভয় দেশই চায় এ বিরোধের অবসান হোক।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে তিন দেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পেছনে জেরার্ডের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top