সকল মেনু

চিপসের লোভ দেখিয়ে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আপন চাচা আটক

হটনিউজ ডেস্ক:

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুরে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে চিপসের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ শিশুটির আপন চাচা ইমন ফারুক বাদশাকে আটক করেছে। ধর্ষক ইমন ফারুক বাদশা মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত রবিউল হকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শিশুটি নিজ বাড়িতে খেলা করার সময় তার আপন চাচা ইমন ফারুক বাদশা চিপস কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মা বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলে ধর্ষক বাদশা পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের অন্যান্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসে।

ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতনদমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গতকাল শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্ষকের স্বজনরা সোনাগাজীতে পালিয়ে থাকা ধর্ষক ইমনকে কৌশলে ছাগলনাইয়ায় ডেকে আনলে পুলিশ তাকে ছাগলনাইয়া থেকে গ্রেফতার করে। আজ শনিবার ইমন ফারুক বাদশাকে আদালতে প্রেরন করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, শিশুটির তথ্যটি জানতে পেরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আমরা শিশুটির সাথে ও তার মার সাথে কথা বলি। তার মাকে মামালা করতে বলি। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। মামলা করার পর থেকে আমরা সারা রাত-দিন অব্যাহত অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে আমরা জানতে পারি সে বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করছিল। সে সর্বশেষ সোনাগাজীতে ছিল। আমরা তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে তাকে পুশইন করে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু সে আবার পলাতক হয়। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় জানতে পারি সে ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাঁশ পাড়ায় তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। পরবর্তীতে আমরা তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করি। আজ তাকে আদালাতে পাঠনো হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, এই নিয়ে ছাগলনাইয়ায় চলতি মাসে দুই ধর্ষণ ও মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা দুই শিশুকে বলৎকার করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতার করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top