সকল মেনু

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আরো দুইজন গ্রেপ্তার

হটনিউজ ডেস্ক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহাগ ও একই ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের নোয়াব আলী ব্যাপারী বাড়ির লোকমান মিয়ার ছেলে সাজু (২১)।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।

এ নিয়ে ওই ঘটনায় এপর্যন্ত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদের মধ্যে ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও মামলার প্রধান আসামি বাদলও রয়েছেন।

এর আগে ওই ঘটনায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরা হলেন মামলার প্রধান আসামি বাদল, দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, মো. আব্দুর রহিম ও মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।

বাদলকে ঢাকা থেকে এবং দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। তার আগে গত রবিবার বিকেল ৪টায় গ্রেপ্তার করা হয় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিমকে এবং ওইদিন রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে ভুক্তভোগী গৃহবধূর বিয়ে হয়। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। স্থানীয় দেলোয়ার বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার রহিম, বাদল, কালামসহ অন্য সহযোগীদের নিয়ে গৃহবধূর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা স্বামীসহ ওই গৃহবধূ অনৈতিক কাজ করেছেন বলে অভিযোগ এনে নির্যাতন চালান। গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন তাঁরা। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই গৃহবধূ নিজের সম্ভ্রম রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন; কিন্তু নির্যাতনকারী কয়েকজন যুবক তাঁর পোশাক কেড়ে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলতে থাকে। এ সময় তিনি হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু এক যুবক কয়েকবার তাঁর মুখমণ্ডলে লাথি মারেন এবং পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেন। তাঁর শরীরে একটা লাঠি দিয়ে আঘাতও করতে থাকেন। তাঁর নগ্ন ছবি ধারণের চেষ্টা চালান তাঁরা। একজন হাত উঁচিয়ে তাঁকে উৎসাহ দেন। আরেকজন তাঁর শরীরের অবশিষ্ট পোশাক টেনে নেন। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবেন বলে চিৎকার করেন একজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top