সকল মেনু

ফরিদপুর মেডিকেলে শিশু চুরি, ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার

হটনিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্যজাত একটি শিশু চুরি যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতাল, পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হন সন্তান সম্ভাবা মা আকলিমা বেগম (২২)। আকলিমা মাদারীপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ নূর শিরখাড়া গ্রামের রুবেল মুন্সীর স্ত্রী।
রবিবার অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আকলিমা। পরে আকলিমা ও তার সদ্যজাত শিশুকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে রাখা হয়।

একই দিন অপারেশনের মাধ্যমে আরেক মা আন্না বেগম (২৪) একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটি মারা যায়। কিন্তু ওই প্রসূতির মা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী গ্রামের ইসমাইল মোল্লার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০) নিজের মেয়ের কোল ভরিয়ে দিতে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আকলিমার শিশুটি চুরি করেন।

তিনি শিশুটিকে চুরি করে প্রথমে ফরিদপুর সদরের নিখুর্দী গ্রামে মেয়ে লাবনী বেগমের (২২) বাড়িতে রাখেন। পরে তাকে সদরপুরে ঠেঙ্গামারীতে নিয়ে যান।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই প্রবীর রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠেঙ্গামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আকলিমার চুরি যাওয়া শিশুকে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাজমা বেগম ও তার এক মেয়ে লাবনী বেগমকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, নিজের মেয়ের কোল ভরিয়ে দেওয়ার জন্য আকলিমার শিশুকে চুরি করেছিলেন নাজমা বেগম। এ ব্যাপারে শিশু চুরির অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে আকলিমার সন্তানকে তার স্বামী রুবেল মুন্সীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top