সকল মেনু

‘এখনতো জুবায়ের আর কোন দিন স্কুলে যাবেনা’

হটনিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শিশু জুবায়ের মা গার্মেন্টকর্মী রাহিমা বেগম এ কথা বলে ছেলের জন্য আর্তনাত করছেন।

রাহিমা বেগম বলেন, জুবায়ের বাবা জুলহাশ ও আমি ফতুল্লার কায়েমপুরে পৃথক দুটি গার্মেন্টে কাজ করি। এক বছর বয়সে জুবায়েরকে গ্রামের বাড়ি বরিশালের গন্ডাদুলা গ্রামে তার দাদীর কাছে রেখে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠি। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাজে যোগ দেই।

গ্রাম থেকে আমার শাশুড়ি ফোন করে জানায় জুবায়ের স্কুলে যেতে চায়, পড়তে চায়। এরপর জুবায়ের বাবাকে বললাম ছেলেতো বড় হয়েছে। স্কুলে পড়ার বয়স হইছে। জুবায়েররে লইয়া আও।

কোরবানীর ঈদের পর জুবায়েরকে নিয়ে আসি আমাদের কাছে। এরপর বাড়ির কাছে সবুজবাগ মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তিও করেছি। স্কুল থেকে মাস্টাররা বললো করোনা গেলে স্কুলে দিয়ে যাবেন। এখনতো জুবায়ের আর কোন দিন স্কুলে যাবেনা।

তিনি বলেন, জুবায়ের তার বাবার সঙ্গে প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়তে যেতো। শুত্রবারও গিয়েছিল। তার বাবার অবস্থাও ভালো না। আমি এখন কী করমু।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে (বড় মসজিদ) বিস্ফোরণে শিশু জুবায়েরসহ ৪০ জন দগ্ধ হন।

এ ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে দগ্ধদের মধ্যে জুবায়ের রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সকালে আরও ১০ জন মারা যান।

চিকিৎসাধীন বাকি ২৬ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসাকরা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top