সকল মেনু

এবার ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছিল শিক্ষিকা?

টনিউজ ডেস্ক:

শিক্ষিকার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ছাত্রীর। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল ছাত্রী। আর তখনই ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মূহূর্তের ছবি দেখিয়ে টাকা দাবি করেন শিক্ষিকা। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর নাম শুভশ্রী বর্মন। মর্মান্তিক ঘটনায় ভারতের কোন্নগর অরবিন্দ রোডের চড়কতলা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, শুভশ্রী বর্মন কোন্নগর চড়কতলার বাসিন্দা। সে বঙ্গবাসী কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত ৩০ জুন শুভশ্রী কীটনাশক খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত সোমবার তার মৃত্যু হয়।

মেয়েকে এভাবে মারা যেতে দেখে সুখেন বর্মন স্থানীয় একটি স্কুলের এক প্যারাটিচারকে দায়ী করেছেন। তনয়া ঘোষ নামে ওই শিক্ষিকার কাছে গত চার বছর ধরে প্রাইভেট পড়তো মেয়েটি।

সুখেনের অভিযোগ, এই চার বছর ধরে ওই শিক্ষিকা মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। অনেক রাত পর্যন্ত ওই শিক্ষিকা ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে চ্যাটও করত। মেয়ে সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ায় শিক্ষিকা তার আপত্তিকর ছবি ফেসবুক, ইউটিউবে ছেড়ে দেবে বলে তাকে ভয় দেখাতে শুরু করে। মাঝেমাঝেই শিক্ষিকা ওই ছাত্রীর কাছে টাকা দাবি করত।

সুখেন আরো জানান, তিনি কারখানায় সামান্য বেতনে কাজ করেন। তার পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। ওই শিক্ষিকারই ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি হরিপাল তার মেয়েকে বিষ এনে দেয়। সেই বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করে শুভশ্রী।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। প্রতিবেশী পাপিয়া বোস জানান, শুভশ্রী অত্যন্ত ভালো মেয়ে ছিল। ওর ব্যবহারও অত্যন্ত ভালো। শিক্ষিকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কী কথা হলো যে শিক্ষিকা তা ডিলিট করে দিলেন। আর তাতেই সন্দেহ জেগেছে অন্যান্য প্রতিবেশীদের।

তবে এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে যদি সত্যিই ওই শিক্ষিকা জড়িত থাকেন, তবে পুলিশ তদন্ত করে তা খুঁজে বের করুক।

পুলিশ বলছে, এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ দায়ের করেছেন আত্মহত্যা করা ছাত্রীর বাবা। তারা সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি, যে ব্যক্তি শুভশ্রীকে বিষ এনে দিয়েছিল, কারর প্ররোচনায় ওই ছাত্রীকে বিষ এনে দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top