সকল মেনু

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত অন্তঃসত্ত্বা নারীকে দাফনে বাধা, লাশ পড়ে আছে নদীর ঘাটে!

হটনিউজ ডেস্ক:
করোনার উপসর্গ নিয়ে নরসিংদীতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী ভয়ে ওই নারীর লাশ দাফন করতে দিচ্ছেন না। ফলে তার লাশটি নদীর ধারে নৌকার মধ্যে পড়ে আছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, মৃত ওই নারী নারায়গঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় শিল্প কারখানা। এর মধ্যে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গতকাল বুধবার রাতেই নরসিংদীতে নিজের বাড়িতে চলে আসেন ওই পোশাককর্মী।

বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। পরে বটতলী এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ওই পোশাক শ্রমিক।

পরে তার লাশ স্বামীর বাড়ি কাজির কান্দি গ্রামে নেয়া হয়। কিন্তু করোনা সন্দেহে গ্রামের লোকজন তাকে দাফন করতে দেয়নি। পরে লাশ নিয়ে আবার বাবার বাড়ি আলোকবালীর উদ্দেশে রওনা দেন আত্মীয়রা।

দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত ওই নারীর লাশ নদীর ঘটে নৌকায় পড়ে আছে। তার স্বামীকে লাশের কাছে যেতে দিচ্ছেন না স্বজনরা। সেখানে তার লাশ পাহারা দিচ্ছেন তার বাবা।

এদিকে মৃত নারীর লাশের নমুনা সংগহের জন্য ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম।

নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, মৃত নারী পোশাক শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি টিম ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পরই তার লাশ দাফন দেয়া হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত বিজয় ও দুলাল নামে দুই গার্মেন্টস শ্রমিক হাজিপুর এলাকায় নিজেদের বাড়িতে আসলে গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে তারা পালিয়ে যান।

নরসিংদীতে এখন পযর্ন্ত মোট তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। শাহপুর গ্রামসহ আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম, ডৌকারচরের একটি গ্রাম এবং পলাশের ইসলামপাড়া গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩১ জনকে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top