সকল মেনু

শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও এক রোগীর মৃত্যু

হটনিউজ ডেস্ক:
বরিশালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহলগাছিয়া গ্রামের মো. জাকির হাওলাদার (৪৫) নামে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন দুই জন রোগীর (নারী ও পুরুষ ) মৃত্যু হয়েছে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, মো. জাকির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই রোগীকে পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে গত শনিবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা প্রথমে তাকে মেডিসিন ইউনিটে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে ওই রাতেই তাকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। রোগীর উপসর্গ দেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন করোনা ইউনিটের চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
শেবাচিমের পরিচালক জানান, ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ইউনিটে দুই জন রোগী মৃত্যুর খবর আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃতদেহ সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে শেবাচিমের করোনা ইউনিটে ভর্তির পরপরই নগরীর কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকার নিরু বেগম (৪৫) নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরপরই স্বজনরা ওই এলাকার মো. দুলালের স্ত্রী নিরু বেগমের মরদেহ নিয়ে যায়।

ওই মৃত নারীর স্বজনদের উদ্বৃতি দিয়ে শেবাচিম পরিচালক জানান, নিরু বেগম রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪দিন আগে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এরপর বাড়িতে তিনি জ্বর, গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। গত শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাত পৌঁনে ১২টার দিকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তার ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ছিলো। জরুরি বিভাগ থেকে করোনা সন্দেহে করোনা ইউনিটে স্থানান্তরের পরপরই তার মৃত্যু হয়।

মৃত নারী কিংবা তার কোন স্বজন বিদেশ থেকে আসেননি কিংবা তিনিও বরিশালের বাইরে কোথাও যাননি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

রবিবার দুপুর পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে করোনা সন্দেহে ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলো। তবে চিকিৎসাধীন ৫ জন আদৌ করোনায় আক্রান্ত কিনা কিংবা মৃত ২ জন কোন রোগে মারা গেল তা কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত হতে পারেননি এবং গণমাধ্যমকেও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।

শেবাচিমে করোনা রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় এই জটিতলা দেখা দিয়েছে বলে দাবি হাসপাতালের পরিচালকের। যানবাহন বন্ধ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের রোগ পরীক্ষার উপাদান ঢাকায় আইইডিসিআর’কে পাঠানো যাচ্ছে না। তাই শুধুমাত্র উপসর্গ দেখে করোনা সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।

এদিকে বরিশাল বিভাগে গতকাল রবিবার পর্যন্ত প্রবাস ফেরত ২ হাজার ৮০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৪৭ জনের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top