সকল মেনু

সৌদির আকস্মিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা!

হটনিউজ ডেস্ক:

করোনার প্রাদুর্ভাব অঞ্চলের দেশগুলোর ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। এমন সিদ্ধান্তে ভিসা হওয়া পরও বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর মক্কা গমন আটকে গেল।

বৃহস্পতিবার সকালে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে শাহজালাল বিমানবন্দরে অপেক্ষামান যাত্রীদের কাউকেই বোর্ডিং পাস দেয়া হয়নি। সকালে সৌদির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলোতেও কোনো ওমারাহ যাত্রী ছিলেন না।

এদিকে সৌদি সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন এজেন্সি মালিকরা।

প্রায় ২০ কোটি টাকা ওমরাহ ভিসা ফি, হোটেল ভাড়া ও নন রিফান্ডেবল বিমান ভাড়া আর ফেরত পাওয়া যাবে না বলে এ ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘ আজ সকালে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এতে আমাদের ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সকালে বিমানবন্দরে আমাদের যে যাত্রীরা গিয়েছেন তারা সবাই অপেক্ষামান আছেন, কাউকেই বোর্ডিং পাস দেয়া হয়নি।’

অর্থাৎ নতুন কোনো ভিসা ইস্যু তো হচ্ছেই না বরং আজ সকালের যাত্রীদেরও সৌদি যেতে দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে হাব সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আটকে পড়া ওমরাহ যাত্রীদের বিষয়ে সকালে সৌদি দূতবাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে দূতাবাস যাদের ভিসা আছে তাদের ব্যাপারেও কিছু বলতে পারেনি।’

এদিকে সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে চিন্তার রেখা দেখা গেছে বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকদের কপালে।

এ বিষয়ে গালফ ট্রাভেলের মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘প্রায় ৫০০ ওমরাহ ভিসা করেছি আমরা। আজকেই অনেকের ফ্লাইট ছিল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো কয়েকটি ফ্লাইটে সব যাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেউই যেতে পারছে না। অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম।’

সিদ্ধান্তটি সাময়িক জানালে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক। এর গ্রাস থেকে কবে বিশ্বের মুক্তি মিলবে জানা নেই। এর ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত বদলাবে সৌদি সরকার। আর আমাদের ওমরাহ ভিসার মেয়াদ এক মাস। এক মাসের মধ্যে খুলে দেয়া হলে বিপদ মুক্ত হবো। এছাড়া আর নয়।’

এ বিষয়ে আহসান ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি সৌদি সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সৌদি সরকার চাইলে পরবর্তী সময়ে এ ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েও দিতে পারবে। তখন আমরাও ভুক্তোভোগী হব না। তবে এসবই এখন ভবিষ্যতের বিষয়।’

তিনি যোগ করেন, ‘ভিসা ফি ও হোটেল ভাড়া তো আর পাচ্ছি না। তাই আপাতত বিমান ভাড়াটা ফেরত পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হোক।’

সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানার পর অনেক ট্রাভেল আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মারওয়া ট্রাভেলের মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আজই আমরা আরও একশ ভিসার আবেদন করার কথা। খবর শোনার পর তড়িঘড়ি করে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top