সকল মেনু

আ.লীগে বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিঁকি নেতা, আরও কত নেতা: কাদের

হটনিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বৈচিত্র্যতা নিয়ে হাস্যরস করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগে এখন নেতার অভাব নেই। এখন কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিঁকি নেতা, আরও কত নেতা!

বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তার এ কথায় জনসভাস্থলে হাসির রোল পড়ে যায়। এর আগে সম্মেলনমঞ্চে উঠেই ওবায়দুল কাদের সিলেটিদের উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন– ‘আফনারা ভালানি’। তার মুখে আঞ্চলিক ভাষা শুনে উপস্থিত জনতা হাসি শুরু করেন। তারা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। সবাই সমস্বরে বলে ওঠেন– ‘ভালা ভালা’।

পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি করতে গিয়ে দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১৬ প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নেতার অভাব নেই। এখন কর্মীদের চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিঁকি নেতা, আরও কত নেতা! নেতার শেষ নেই। নেতা আছে, কর্মী পাওয়া যায় না। নেতাদের পোস্টার লাগানোর মানুষ থাকে না। ভাড়া করে পোস্টার লাগাতে হয়।’

আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে নতুন নেতৃত্বের আভাস দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে কাউকে বাদ দেয়া হয় না। আওয়ামী লীগে দায়িত্বের পরিবর্তন হয়। দায়িত্বের পরিবর্তন মানে বাদ দেয়া নয়। নবীনের সঙ্গে প্রবীণের মিলন। প্রবীণের সঙ্গে নবীনের মিলন। শক্তির সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিলন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। আওয়ামী লীগকে সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ঢেলে সাজাতে হবে।
মনোনয়ন বাণিজ্য আওয়ামী লীগে চলবে না বলে দলের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন টাকার বিনিময়ে নেতা হওয়ার দিন শেষ। মনোনয়ন বাণিজ্যের দিন শেষ। সুসময়ের সুবিধাবাদীদের দিন শেষ। এসব চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। নেত্রী টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান।

সম্মেলনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, ত্রাণ ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top