সকল মেনু

যুবলীগ নেতার কব্জি কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আসামিরা

হটনিউজ ডেস্ক:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে যুবলীগ নেতার দুই হাতের কব্জি কেটে নেয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মূল হোতা উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ফয়েজসহ ৫ জনের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ইতিমধ্যে রিমান্ডের একদিন শুরু হয়েছে। রিমান্ড চলাকালে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তথ্যগুলো দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামীদের শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে রাত থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কব্জি হারানো রুবেলের মা রুলিয়ারা বেগম ২২ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার মূল আসামি উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন, তার সহযোগি তারেক আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, তারিক ও আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজকে গ্রেফতারের পর তার ক্যাডার বাহিনী আত্মগোপনে চলে গেছে। আর তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ। উজিরপুর ইউনিয়নে গিয়ে জানা যায়, ফয়েজ উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এমনকি মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।

এছাড়াও ফয়েজ চেয়ারম্যান নিজ জমিতে একটি ভবন গড়ে তুলে সেখানে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে টর্চার সেলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে এমনকি গরু ছিনতাই তার নিত্য দিনের কর্মে পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের এক প্রভাবশালী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি তার অপকর্ম চালাচ্ছেন এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে উজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. দুরুল হোদা জানান, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ফয়েজ উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হবার পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কাজ তার নিজস্ব জমিতে গড়ে উঠা ভবনে চালান।

এছাড়াও দীর্ঘদিনে ধরে তার জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর হাট। যার কোন অনুমোদন নেই। মূলত ভারতীয় গরু থেকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হাটটি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ফয়েজ শিবগঞ্জ থানার সদ্য বদলীকৃত ওসি’র আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রায় ৫০জনের একটি ক্যাডার বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। কিন্তু সে গ্রেফতার হবার পর ত্যার ক্যাডার বাহিনী পালিয়ে গেলেও সেই টর্চার সেলে পড়ে রয়েছে ক্যাডারদের জুতা, স্যান্ডেল, গেঞ্জি, প্যান্টসহ জামা-কাপড়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে স্থানয়ি যুবলীগ নেতাকে ধরে নিয়ে যায় ফয়েজের লোকজন। পরে তার দুই হাতের কব্জি কেটে ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top