সকল মেনু

বাড্ডায় নারীকে গণপিটুনিতে হত্যা: তিনজনের ৪ দিনের রিমান্ড

হটনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বাড্ডায় নারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন যুবককের বিরুদ্ধে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- জাফর, শাহীন ও বাপ্পী।

সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তাদের বিরুদ্ধে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার রাতে মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজ দেখে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে, শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে তাসলিমার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে দাফনের জন্য স্বজনরা নিহতের লাশ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে নিয়ে গেছেন। তার ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

আড়াই বছর আগে স্বামী তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি।

শনিবার সকালে এ ঘটনার পর এদিন রাতেই নিহতের বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাড্ডা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, বেকার সমস্যা এবং এক সন্তানকে নিজের থেকে দূরে রাখার কারণে তাসলিমা বেগম রানু হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে তিনি হয়তো হাঁটতে হাঁটতে বাড্ডায় চলে এসেছেন, এসে ঘটনার শিকার হয়েছেন।

নিহতের ভাগনে নাসির উদ্দিন বলেন, রেনু মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তিনি এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ঘুরছিলেন।এ কারণেই হয়তো তিনি বাড্ডার ওই স্কুলটিতে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top