সকল মেনু

সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর সরানোর দাবি সংসদে

 

হট নিউজ ২৪

জিয়াউর রহমানের কবরসহ জাতীয় সংসদের লুই আই কানের মূল নকশাবহির্ভূত সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবির কথা জানান। বাজেট আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বরগুনার রিফাতকে হত্যা নিয়ে কথা বলেন।

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এ দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালু করেন এবং একাত্তরের ঘাতক-যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই দিয়ে দেশকে উল্টো পথে চালিত করেন। সংসদের প্রকৃত নকশাবহির্ভূত জিয়াউর রহমানের কবরসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যে গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ধরনের নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে কবর দেখেই নতুন প্রজন্ম জানতে পারে এটা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাজেটের ঘাটতি মেটাতে এবং কর নেটের আওতা বাড়াতে নতুন প্রস্তাব রেখে বলেন, দেশে যাদের এনআইডি কার্ড রয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে অনেককে কর দাখিলের আওতায় আনা যেতে পারে। ব্যবসায়ীরা টিআইএনের মাধ্যমে কর দাখিল করবেন, তাতে কর প্রদানের হার বাড়বে। তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীর সঙ্গে একটা চুক্তি করেন, তবু কাজে বিলম্ব হয়। তাই কাজ যেন আরো সহজ হয়, গতিশীল হয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতামুক্ত হয়, সে জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এখন সময়ের দাবি।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, একাত্তরে পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এখন সব দিক থেকে এগিয়ে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ, সাহসী, পরিশ্রমী নেতৃত্বের কারণে। বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন খুলে তারেক রহমান দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। তাদের আমলে জঙ্গি-সন্ত্রাস-অগ্নিসন্ত্রাসের কথা জনগণ কখনো ভুলবে না।

সাবেক আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো; কিন্তু সামাজিক অবক্ষয়, পশু প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে, যা আমাদের বিপদগ্রস্ত করছে। এই যে বরগুনায় রিফাত নামের একজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হলো, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে। নিম্ন আদালতে বিচারের পর হাইকোর্টে আপিলের পর আটকে থাকে। এ মামলার রায়গুলো হাইকোর্টে যাওয়ার পর সেটা আটকে যায়। এ মামলাগুলো যখন হাইকোর্টে যায়, তখন সেগুলো যাতে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এটা হলেই আমরা বলতে পারব দ্রুত সময়ে বিচার পাচ্ছি।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অর্থনীতিতে চলছে স্বস্তির সুবাতাস। স্মার্ট এ বাজেট গোটা জাতির প্রত্যাশা পূরণ করবে। চলমান বিশ্বকাপে টাইগারদের সাহসী খেলা সারা বিশ্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন। এটি বাস্তবায়িত হলে সব দিক থেকে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top