বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজ পুকুর হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শাহপরান(১২) হত্যায় শার্শা থানা পুলিশ কর্ত্তৃক ধৃত নিরীহ ৫(পাঁচ) নারী-পুরুষকে ৩(তিন) লাখ টাকার বিনিময়ে এলাকায় স্বীকৃত থানার দালাল সৈয়দ আলী (সৈয়দা) নিজ জিম্মায় তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। শার্শা থানা পুলিশের সাথে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত দিনে বাকী ৩(তিন) লাখ টাকা প্রদান করার কথা থাকে। দালাল সৈয়দার চাপের মুখে নিরীহ ঐ ৫(পাঁচ) নারী-পুরুষ নিজেদের চাষাবাদ যোগ্য জমি কম দরে তড়িঘড়ি করে বিক্রি করতে বাধ্য হয় এবং দালাল সৈয়দার কথা মোতাবেক ঈদের পর রবিবার ৫০ শতক জমি বিক্রয়ের অর্থ বাকী ৩(তিন) লাখ টাকা সৈয়দার হাতে গোপনে তুলে দেয়।
যা পত্র-পত্রিকায় এবং গন মাধ্যম গুলোয় ভিডিও সহ ঢালাও ভাবে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শার্শা থানা পুলিশের পরামর্শে দালাল সৈয়দ আলী সৈয়দা এবং তার গংয়েরা উপজেলা প্রেসক্লাব ডিঙ্গিয়ে যশোর প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। “এ যেন ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাঁস খাওয়ার মত অবস্থা” শেষ পর্যন্ত ঐ সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় নিজ কু-কর্ম ঢাকতেই দালাল সৈয়দার এই সাংবাদিক সম্মেলন। শেষ পর্যন্ত ঐ সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় নিজ কু-কর্ম ঢাকতেই দালাল সৈয়দার এই সাংবাদিক সম্মেলন শিরোনাম প্রকাশিত হয়। এদিকে ঘটনা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নজরে আসলে দালাল সৈয়দা ঐ নিরীহ ৫(পাঁচ)নারী-পুরুষের প্রদান করা মোট ৬(ছয়) লাখ টাকা ফেরতে বিভিন্ন নাটকীয়তা শুরু হয়।
ডুবপাড়া গ্রাম বাসি সুত্রে জানা যায়, জমি ক্রেতা ইস্রাফিলের চাচা মিজানের বাড়িতে হেদায়েত উল্লাহ ও দালাল সৈয়দার সাথে গোপন বৈঠক হয়। পুলিশের ভয় দেখিয়ে দালাল সৈয়দা আবারও শর্ত দিয়ে তাদেরকে টাকা ফেরৎ দেয়। যা এলাকার গ্রামবাসীর অনেকেই এর সত্যতা স্বীকার করেন।
ডুব পাড়া গ্রামের মেম্বার মফিজুর সাংবাদিকদের বলেন, হেদায়েত উল্লাহর পরিবার আটক এর পরে আমিও শুনেছি অর্থের বিনিময়ে হেদায়েত উল্লাহর পরিবারকে শার্শা থানা ছেড়ে দিয়েছে। হেদায়েত উল্লাহকে আমি না ডাকা সত্ত্বেও হঠাৎ সে ও তার বোনাই আমার বাড়িতে হাজির হয়ে একটি ব্যাগ আমাকে দেখিয়ে বলেন এর ভিতরে সেই জমি বিক্রয় করা অর্থ আছে। আমরা থানায় কোন অর্থ দেয়নি। জমি বিক্রয়ের টাকা আমাদের কাছেই ছিল। “এ যেন ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাইনা”। তিনি আরো বলেন থানার দালাল সৈয়দাকে ডুব পাড়া গ্রামে ঘুরাফেরা করতে দেখে আমি হেদায়েত উল্লাহকে বলি সৈয়দা কি আপনার বাড়িতে টাকা ফেরৎ দিতে এসেছে জবাবে হেদায়েত উল্লাহ বলেন না সৈয়দা এমনি আমার বাড়িতে এসেছে। ডুবপাড়া গ্রামে থানার দালাল সৈয়দা এলাকায় ঘুরাফেরা করতে দেখে ও হেদায়েত উল্লাহর বাড়িতে যাওয়া আসাকে ঘিরে গ্রাম বাসির মনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সত্যিকি হেদায়েত উল্লাহ কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দিতে এসেছিল। জনমনে প্রশ্ন তাহলে কি করছে শার্শা থানা পুলিশ, ভিডিও ফুটেজ এ সৈয়দা নিজেই শিকার করেছেন আমি মাঝে মাঝে থানায় উঠাবসা করি এবং আমার জিম্মায় এসআই মামুন নিরীহ হেদায়েত উল্লাহর পরিবারকে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কেন শার্শা থানার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সৈয়দার বিষয়ে কোন আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।শার্শা থানার এসআই মামুন বেশ কিছু দিন আগে থানায় যোগদান করেন, যোগদান করেই নিরীহ বিনা অপরাধী মানুষকে কেন হয়রানী করছে।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত বিষয়টি প্রকাশিত খবরের সাথে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনা স্থল(ডুবপাড়া) গ্রাম পরিদর্শন করলেই সঠিক ও সত্যে ঘটনাটি জানতে পারবেন। শার্শা থানার এসআই মামুনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে সৈয়দার জিম্মায় হেদায়েত উল্লাহর পরিবারকে ছেড়ে দিতে বললে সৈয়দার কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে আমি তাদেরকে ছেড়ে দিই । সৈয়দার বিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, সৈয়দাকে আমি চিনি না, সে থানায় আসে না, তাকে আমি কখনও থানায় দেখিনি। তার জিম্মায় থানা থেকে কোন ব্যাক্তিকে আমরা ছেড়ে দেয়নি। যদি কাউকে জিজ্ঞাসা বাদের পরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়।
সৈয়দার জিম্মার বিষয়ে শার্শা থানার ওসি ও এসআই দুই ধরনের বক্তব্য দেয়। যেটি সংবাদকর্মীদের কাছে অডিও রেকর্ড রয়েছে। তাহলে কি এতে বোঝা যায়? নিজের কু-কর্ম ও দুর্নীতি ঢাকতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নামে সৈয়দার সংবাদ সম্মেলন সম্পৃর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। এবিষয়ে নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি থানার দালাল সৈয়দার বিষয়ে বলেন, সৈয়দার জিম্মার বিষয়টি শার্শা থানার এখতিয়ার,শার্শা থানা বলতে পারবে শার্শা মুছলেখা নিয়ে কাকে ছাড়বে আর কাকে ছাড়বে না। তবুও আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে একটুকু বলতে পারি, সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।