সকল মেনু

‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই’

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিদের এখন বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মিট উইথ মনিরুল ইসলাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিরা প্রতিবেশী (শ্রীলংকা) দেশটির হামলা থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে। এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনগুলো যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর রয়েছে।

সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে দমন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে তাদের দমনে সবার সহযোগিতা চান মনিরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, মূলত ২০১৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে আইএসে যোগদান করে অনেকে। আমাদের ধারণা মতে, তাদের কেউ ধরা পড়েছে, কেউ নিহত হয়েছে অথবা কেউ চিহ্নিত হয়েছে। তারা (বর্তমানে আইএসে থাকারা) যদি এখন দেশে ফিরতে চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে ফিরতে হবে। এর জন্য তাদের পাসপোর্ট লাগবে। যেহেতু তারা ২০১৪ সালের শেষের দিকে গিয়েছিল, তাদের পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। দেশে ফিরতে হলে তাদের নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনার বিষয়ে সিটিটিসি বিভাগের প্রধান বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তারা দীর্ঘদিন এ দেশে থাকলে সোশ্যাল ডিজঅর্ডারসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। তাদের দেশে পাঠাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা যদি এমন কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে আগাম জানতে পারব।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে যারা আফগানিস্তানে গিয়েছিল তারাই দেশে ফিরে ধর্মীয় ও সহিংসতাভিত্তিক জঙ্গিবাদের সূচনা করে। প্রথমদিকে এই আমদানিকারকদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। কারো কারো ফাঁসি হয়েছে। তিন-চারজন হয়ত পলাতক রয়েছে, তবে সবাই চিহ্নিত।

শ্রীলঙ্কার হামলা কারা চালিয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে মনিরুল বলেন, শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত হামলা চালালেও এর পেছনে আন্তর্জাতিক কোনও সংগঠন যুক্ত বলে তার মনে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘদিন গৃহযুদ্ধ চলায় এই ধরনের হামলা চালানোর উপাদান সেখানে থাকলেও বাইরের শক্তির ইন্ধন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারওয়ার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top